মার্চের পর একদিনে সবচেয়ে কম মৃত্যু যুক্তরাজ্যে
করোনায় বিপর্যস্ত ইউরোপের দেশগুলো থেকে আশার খবর পাওয়া যাচ্ছে। চীনের পর করোনা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অভিহিত ইউরোপের তিন দেশ- ইতালি, স্পেন ও যুক্তরাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে মৃত্যুর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণের ধাপ পার করেছে ইউরোপ।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টা যুক্তরাজ্যজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪১৩ জন মারা গেছে। গত মার্চ মাসের পর দেশটিতে একদিনে এত কম মানুষের মৃত্যু হলো করোনায়। তাই এই অবস্থাকে পরিস্থিতির উন্নতির ইঙ্গিত বলা হচ্ছে।
দেশটিতে এ নিয়ে করোনায় প্রাণ হারালেন ২০ হাজার ৭৩২ জন। তবে সরকারিভাবে দেওয়া এই তালিকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মৃত্যুবরণ করা মানুষ অন্তভূর্ক্ত হয়েছে। এছাড়া দেশটির বিভিন্ন কেয়ার হোম (অনেকটা বৃদ্ধাশ্রম) ও বাড়িতে যারা মহামারি এই ভাইরাসে প্রাণ হারাচ্ছেন তাদের নাম তালিকায় উঠছে না।
তবে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ব্রিটেনে করোনায় প্রকৃত মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা সরকারের দেওয়া হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মার্চের শেষদিকে যুক্তরাজ্যজুড়ে লকডাউন জারি করেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তা এখনো চলমান রয়েছে।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) এবং করোনাভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষা কিটের ঘাটতিসহ মহামারি প্রতিরোধে দেশটিরে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ১ লাখ ৫৩ হাজার প্রায়।
এসএ