একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি, ভারতে মৃত্যু হাজার ছাড়াল
ভারতে মহামারি নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার একদিনে সর্বোচ্চ ৭৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়াল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা সেন্টারের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ ভারতে এখন করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ৮ জন। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৭৮৭।
তবে করোনার পরীক্ষার হার অনেক কম হওয়ার কারণে মহামারিতে ভারতের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যে পূর্বাভাস এতদিন দিচ্ছিলেন, দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর এই সংখ্যা তার তুলনায় অনেক কম বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জ্যাকব জন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সেখানে কম দেখতে পাচ্ছি কিন্তু আমরা আমরা জানি না দেশটিতে করোনার সংক্রমণ ও এই সংখ্যা যাচাই করার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।’
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ছিল, ভাইরাসটি দাবানলের মতো ভারতের বস্তিগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারতে কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুহার প্রতি ১০ লাখে একজনেরও কম (প্রায় দশমিক ৭৬), যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে প্রতি ১০ লাখে ১৭৫ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায়ও ভারতে সংক্রমণের হার অনেক কম।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার লকডাউনের যে সিদ্ধান্ত নেয় তা আপাতত কার্যকরী হয়েছে বলেই দেশটিতে করোনার এমন ইতিবাচক পরিসংখ্যানের ইঙ্গিত মিলছে।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পারপরই নরেন্দ্র মোদি গত ২৫ মার্চ গোটা দেশ লকডাউন করার ঘোষণা দেন। তখন থেকেই দেশটিতে লকডাউন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় বাড়ানোর পর সেই লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৩ মে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এর মেয়াদ আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন মোদি।
এসএ