ইইউ পার্লামেন্ট ভবনে ঠাঁই মিলল ১০০ গৃহহীন নারীর
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্টের একটি ভবনে ১০০ জন গৃহহীন নারীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে; যাদের মধ্যে অনেকে নিজ গৃহে নির্যাতনের শিকার। এসব নারী করোনার বিস্তার রোধে বেলজিয়ামে চলমান লকডাউনে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইইউ পার্লামেন্টের দ্য হেলমুট কোহল ভবন বুধবার থেকে এসব নারীর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ভবনটি সিটি সেন্টারের অফিস ব্লকে অবস্থিত। ভবনের কক্ষগুলোকে থাকার ঘরে পরিণত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি কক্ষে একজন কিংবা দুইজন একসঙ্গে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
পার্লামেন্ট ভবনে ঠাঁই পাওয়া এসব নারীকে খাবার ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। সামুসোশ্যাল নামের একটি দাতব্য সংস্থা বলছে, করোনার কারণে তৈরি সংকট গৃহে নারী নির্যাতনের ঘটনা অনেকটা বেড়েছে। ব্রাসেলসে ওই ভবনে এসব নারীর ঠাঁই দেওয়ার বিষয়টি দেখভাল করছেন সামুসোশ্যাল নামের একটি দাতব্য সংস্থার একদল স্বেচ্ছাসেবী।
সামুসোশ্যালের পরিচালক সেবাস্তিয়ান রয় পাবলিক ব্রডকাস্টার আরটিবিএফকে বলেন, ‘লকডাউন শুরুর পর থেকে রাস্তায় অনেক নারীকে ছুড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। গৃহে নির্যাতন ও সহিংসতার কারণে এটা দিন দিন আরও বেড়েই চলেছে।’ ব্রাসেলস কর্তৃপক্ষও কিছু হোটেলে এসব গৃহহীন ও সহিংসতার শিকার নারীকে জরুরিভিত্তিতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের ভবনগুলো এখন কার্যত খালি। অধিবেশনে অল্পসংখ্যক আইনপ্রণেতা (এমইপি) অংশ নেন, বাকি সবাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া পূর্ব ফ্রান্সের স্ট্রসবার্গে অধিবেশন আগামী জুলাই পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পার্লামেন্টের কার্যক্রমন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।
ইইউ পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড সাসোলি সম্প্রতি হেলমন্ট কোহলের ওই আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে এসেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই জরুরি অবস্থা আমাদের সবার ওপর মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলেছে এবং ব্রাসেলসে দুঃখজনক অনেক ঘটনা ঘটছে। আমি মনে করি এই সংকট প্রতিষ্ঠানসহ আমাদের সবাইকে একটি ভালো উদাহরণ তৈরির ব্যবস্থা করে দিয়েছে।’
এসএ