সামাজিক দূরত্ব শিথিল হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়
সামাজিক দূরত্ব শিথিল করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। আগামী ৬ মে থেকে দেশটিতে সামাজিক দূরত্ব শিথিল করা হবে। ইতোমধ্যেই দেশটিতে কড়াকড়িও অনেকটা কমিয়ে আনা হয়েছে।
দেশটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য আংশিক চালু করা হয়েছে। ফলে আস্তে আস্তে সেখানকার জীবন-যাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই বহু লোক কর্মক্ষেত্রে ফিরতে শুরু করেছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপর থেকেই তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমদিকে চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু দেশটি এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং সিয়ে কিয়ুন রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে তার দেশ।
প্রথম থেকেই করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে দক্ষিণ কোরিয়া। এর সুফলও পেয়েছে দেশটি। ইতোমধ্যেই দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমতে শুরু করেছে।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ আছে সেগুলো আবারও চালু করার অনুমতি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে জনসমাগম এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনেরও অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী করেনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৭৯৩। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন। এরমধ্যে অধিকাংশই বহিরাগত।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। দেশটিতে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯ হাজার ১৮৩ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়েছে। অপরদিকে দেশটিতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৯ হাজার ১৮৩টি। তবে ৫৫ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
টিটিএন/জেআইএম