৪৮ ঘণ্টায় নিউজিল্যান্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়নি কেউ
গত দু'দিন ধরে নিউজিল্যান্ডে কেউ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
দু'দেশের মধ্যে পুণরায় ভ্রমণ চালুর বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা পরবর্তী ঘোষণায় জানানো হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে করোনাভাইরাস নিয়ে এক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন তিনি। ওই বৈঠকে প্রতিবেশী দেশগুলো করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জনের পর পুণরায় নিজেদের সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছে।
গত ২৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। প্রথম থেকেই দেশজুড়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। গত ৭ সপ্তাহের মধ্যে টানা দু'দিন দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যতে নেমে এসেছে।
এর আগে গত ১৬ মার্চ নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনায় কেউ আক্রান্ত হয়নি। এরপর আবারও নতুন করে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় এখনও নতুন করে কারো আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, দেশটিতে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
দেশজুড়ে কড়াকড়ির মাত্রা ৪ থেকে ৩য়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। গত প্রায় পাঁচ সপ্তাহ ধরে ৪ মাত্রার লকডাউন জারি রয়েছে নিউজিল্যান্ডে।
ইতোমধ্যেই দেশটিতে প্রায় ৪ লাখ মানুষ কাজে যোগ দিয়েছে। দেশটির প্রায় ৭৫ ভাগ অর্থনীতি সচল হতে শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ব্লুমফিল্ড জানান, নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৪৮৭ এবং মারা গেছে ২০ জন। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অপরিবর্তিত আছে।
অপরদিকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ১ হাজার ৩০২ জন ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে। নিউজিল্যান্ডে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১৬৪টি।
টিটিএন/জেআইএম