কমেছে মৃত্যু-সংক্রমণ, স্বাভাবিক হচ্ছে স্পেন
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা কমে এসেছে স্পেনে। অথচ প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ইউরোপের এই দেশটির অবস্থা ছিল সবচেয়ে বিপর্যস্ত। স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গত একদিনে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ১৮৫ জন মারা গেছেন।
স্পেনে টানা তিনদিন করোনায় মৃত্যু ২০০ এর নিচে ছিল। মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা এখন ২৫ হাজার ৬১৩। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে। গত একদিনে নতুন করে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৩১৮ জন। যা সাম্প্রতিক দিনগুলোর তুলনায় অনেক কম।
করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১৯ হাজার ৩২৯ জন। তবে করোনায় মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পর রয়েছে ইউরোপের অপর দুই দেশে; যুক্তরাজ্য ও ইতালি।
প্রকোপ কমতে থাকায় ৪৯ দিন পর গত শনিবার থেকে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া গত সোমবার থেকে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ারও অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর আগে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের দিনে ১ ঘণ্টা বাইরে বের হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
মহামারি করোনার বিস্তার রোধে দেওয়া লকডাউন কার্যত তুলে নিচ্ছে স্পেন সরকার। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকায় চলমান জরুরি অবস্থার অনেক বিষয় শিথিল করা হয়েছে। খোলা হয়েছে কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ।
লকডাউন প্রত্যাহারে ৪ ধাপের পরিকল্পনা নিয়েছে স্পেনের সরকার। আগামী দিনে ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায় চালু করারও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শানচেজ বলেছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও ফলপ্রসূ হলে জুন মাসের শেষের দিকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরবে স্পেন।
এসএ