হাসপাতালে করোনা রোগীদের পাশে পড়ে আছে ৭-৮টি মরদেহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৭ এএম, ০৮ মে ২০২০

হাসপাতালের ওয়ার্ডে শুয়ে রয়েছেন করোনায় আক্রান্ত রোগীরা। রোগীদের বিছানার আশপাশেই ছড়ানো রয়েছে ব্যাগে মোড়া মরদেহ। এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী শহর মুম্বাইয়ের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন পরিচালিত সিয়ন হাসপাতালে। সেই ঘটনার একটি ভিডিও এখন ভাইরাল।

আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মোবাইলে তোলা সেই ঘটনার ভিডিও মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। তা দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়াও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা।

বুধবার  ভিডিওটি পোস্ট করেন রাজ্য বিজেপি নেতা নীতীশ রাণে। তিনি লিখেছেন, ‌‘সিয়ন হাসপাতালের মরদেহের পাশেই ঘুমাচ্ছেন রোগীরা, এ কেমন প্রশাসন! খুবই লজ্জাজনক ঘটনা।’ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসারত রোগীদের পাশেই রাখা আছে প্লাস্টিকে মোড়া সাত-আটটি মরদেহ।

বিষয়টি নিয়ে সিয়ন হাসপাতালের ডিন প্রমোদ ইনগালে বলেন, ‘কোভিড-১৯ রোগে মৃত রোগীর আত্মীয়রা মরদেহ নিতে রাজি হয়নি। তাই মরদেহুগলো সেখানে পড়ে ছিল। তবে আমরা সেগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি। এই ঘটনার তদন্ত করা হবে।’

ভিডিওটি দেখুন>>

পরিবার লাশ নিতে রাজি না তাহলে মরদেহগুলো কেন মর্গে রাখা হল না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের মর্গে ১৫টি মরেদেহ রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। যার ১১টি ভর্তি। সবগুলো যদি আমরা ভর্তি করে ফেলি, তাহলে করোনা ছাড়া অন্য রোগে মৃতদের মরদেহ রাখা নিয়ে সমস্যা হবে।’

প্লাস্টিকে মোড়া দেহ থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাসপাতাল প্রশাসন। একবার প্লাস্টিকে দেহ মোড়া হয়ে গেলে সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। তবে এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মানুষ।

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ। রাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৫৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে শুধু মুম্বাইয়েই সেই সংখ্যাটা ১০ হাজারের বেশি। মহারাষ্ট্রে করোনায় এখন পর্যন্ত ৬৫১ জন মারা গেছে।

এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।