সতর্কতা উপেক্ষা করেই ‘করোনারোধী পানীয়’ পান করছেন আফ্রিকানরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৫ এএম, ০৯ মে ২০২০

অডিও শুনুন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেই আফ্রিকার দেশগুলোতে মাদাগাস্কারের দাবিকৃত ‘করোনারোধী ভেষজ পানীয়’ ব্যবহার শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই তানজানিয়া, সেন্ট্রাল আফ্রিকা, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, গিনি-বিসাউ প্রভৃতি দেশে বিনামূল্যেই হাজার হাজার বোতল পানীয় পাঠিয়েছে মাদাগাস্কার।

গত মাসে মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোলিনা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তারা এক ধরনের পানীয় উদ্ভাবন করেছেন যা পান করলে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ইতোধ্যেই দু’জন এই পানীয় পান করে সুস্থ হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

এরপর থেকেই মাদাগাস্কারের রাষ্ট্র পরিচালিত প্রতিষ্ঠান মালাগাসি ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লায়েড রিসার্চে ব্যাপক হারে ‘কোভিড-অর্গানিকস’ নামের এই পানীয় উৎপাদন শুরু হয়। এতে মূলত আর্টেমিশিয়াসহ বেশ কিছু ভেষজ গাছের নির্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। আর্টিমিশিয়া এর আগে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

চলতি সপ্তাহে মাদাগাস্কার সরকার জানিয়েছে, দেশে তারা পানীয়টির দাম রাখছে ৪০ মার্কিন সেন্ট। শুধু নিজেরাই নয়, আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশগুলোকেও তারা এই পানীয় সরবরাহ করবে।

drink-2.jpg

ইতোমধ্যেই অন্তত ১৪টি আফ্রিকান দেশকে কোভিড-অর্গানিকস দেয়া শুরু হয়েছে। গিনি-বিসাউ অন্তত ১৬ হাজার বোতল পানীয় পেয়েছে। সবশেষ গত শুক্রবার তানজানিয়ায় পৌঁছেছে এই ভেষজ পানীয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ
আফ্রিকান দেশগুলো মাদাগাস্কার সরকারের ওপর ভরসা রেখে পরীক্ষা না করেই কোভিড-অর্গানিকস ব্যবহারের ঘোষণা দিলেও এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তারা বলছে, আর্টেমিশিয়া থেকে সংগৃহীত যৌগ উপাদানগুলো ম্যালেরিয়া সারাতে কার্যকর, সরাসরি এই গাছ ব্যবহার নয়। সেক্ষেত্রে কার্যকারিতা পরীক্ষা না করেই কোনও বস্তু বা তথাকথিত ওষুধ গ্রহণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আফ্রিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রও বলছে, মাদাগাস্কারের কোভিড-অর্গানিকস পরীক্ষা করার পরেই পান করতে দেয়া উচিত।

সূত্র: আল জাজিরা

কেএএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।