করোনায় মৃত্যু কমেছে ব্রিটেনে
ব্রিটেনে করোনায় মৃতের সংখ্যা গত শনিবারের তুলনায় আজ শনিবার প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। করোনা নিয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত একদিনে আরও ৩৪৬ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩১ হাজার ৫৮৭।
করোনা নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটে আজ ব্রিফিং করেন যোগাযোগ মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস। দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি এবং নির্দেশনা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আগামীকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ধারণা করা হচ্ছে, লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা দেেবেন তিনি।
চীনের পর ইউরোপ ছিল করোনা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র। শুরুর দিকে ইতালির অবস্থা ছিল সবচেয়ে খারাপ। তবে মোট মৃত্যুতেই তালিকে টপকে গেছে যুক্তরাজ্য। ইউরোপে এই দেশেই এখন সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিশ্বে মৃত্যু-সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।
শারিরীক দূরত্ব কঠোরভাবে মানা না হলে যুক্তরাজ্যে ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করার পরপরই দেশ লকডাউন করা হয়। ব্রিটিশরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না বের হতে পা পারছেন না। সবাইকেই নিজ ঘরে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে যেকোনো দেশ থেকে আকাশপথে যুক্তরাজ্যে ঢোকা প্রত্যেককে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন করে রাখার কথা সরকারকে বলেছে দেশটির আকাশপথে সেবাদানকারী সংস্থাগুলো। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার।
যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় মারা যাওয়ার চারগুণ বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে কৃষ্ণাঙ্গরা। পাকিস্তানি, বাংলাদেশিসহ অন্যান্য মিশ্র জাতিসত্ত্বার মানুষেরাও রয়েছেন উচ্চ ঝুঁকিতে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় (ওএনএস) এ তথ্য জানিয়েছে।