ইউরোপে প্রথম মহামারি শেষের ঘোষণা দিলো স্লোভেনিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ১৫ মে ২০২০

ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে করোনাভাইরাস মহামারি শেষের ঘোষণা দিয়েছে ২০ লাখ মানুষের পাহাড়ি দেশ স্লোভেনিয়া। শুক্রবার দেশটি করোনা মহামারি শেষের এই ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ফরাসী সংবাদ সংস্থা এএফপি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য এই দেশটির সরকার শুক্রবার বলেছে, কোভিড-১৯ এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দেশে এখন আর অতিরিক্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কোনও দরকার নেই।

মহামারি ঘোষণার দুই মাস পর শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যানেজ জানসা বলেন, ইউরোপে আজ পর্যন্ত করোনা মহামারিতে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে স্লোভেনিয়া। যা সাধারণভাবে আমাদের মহামারি ঠেকাতে সক্ষম করেছে।

দেশটির সরকার বলছে, পূর্বনির্ধারিত চেকপয়েন্টগুলো দিয়ে অস্ট্রিয়া, ইতালি এবং হাঙ্গেরীর ইইউ বাসিন্দারা এখন থেকে স্লোভেনিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অ-ইউরোপীয়দের জন্য ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে।

ইউরোপের এই দেশটিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ৪ মার্চ; ওই ব্যক্তি প্রতিবেশি ইতালি থেকে স্লোভেনিয়ায় আসেন। পরে ১২ মার্চ দেশজুড়ে মহামারি ঘোষণা দেয় স্লোভেনিয়া। ১৩ মে পর্যন্ত দেশটিতে এক হাজার ৪৬৭ জন করোনা রোগী পাওয়া যায় এবং মারা যান ১০৩ জন।

সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাস বিস্তারের ঝুঁকি এখনও থাকায় সাধারণ ও বিশেষ কিছু ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। জনসমাগম আগের মতো নিষিদ্ধ। জনসম্মুখে এলে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার বিধান মানতে হবে।

গত সপ্তাহে স্লোভেনিয়ার সরকার জানায়, আগামী সপ্তাহ থেকে দেশের কিছু শপিং সেন্টার এবং হোটেল পুনরায় খুলে দেয়া হবে। আগামী ২৩ মে থেকে দেশটিতে ফুটবল ও অন্যান্য খেলাধুলার প্রতিযোগিতা পুনরায় শুরু হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

আপাত মহামারি অবসানের ঘোষণা দিলেও দেশটিতে এখনও এই রোগটি আছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। দেশটির সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ মাতেজা লোগার বলেন, ইউরোপীয় কোনও দেশই এখন পর্যন্ত মহামারি অবসানের ঘোষণা দেয়নি। যে কারণে এই ঘোষণার ব্যাপারে স্লোভেনিয়ার আরও সতর্ক হওয়া উচিত। দেশটিতে এখনও এই ভাইরাস রয়েছে।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।