থাইল্যান্ডে আবারও আক্রান্ত-মৃত্যুবিহীন দিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ পিএম, ১৬ মে ২০২০

ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহানে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো প্রথম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম থাইল্যান্ড। তবে দেশটিতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা কম। এদিকে গত একদিনে থাইল্যান্ডে নতুন করে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি এবং কেউ মারাও যায়নি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স শনিবারের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, থাইল্যান্ড ‌‘সেন্টার ফর কোভিড-১৯ সিচুয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’র মুখপাত্র তাওউইসিন উইসাননুইয়োথিন বলেন, ‌‘‌আজ নতুন শনাক্ত রোগী নেই। এছাড়া আক্রান্ত কোনো রোগীও মারা যায়নি। সহযোগিতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’

তবে এবারই প্রথম থাইল্যান্ডে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুবিহীন দিন নয়, এর আগেও গত ৯ মার্চ দেশটিতে নতুন করে কোন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়নি। তারপর টানা দুই মাস পর দ্বিতীয়বারের মতো নতুন আক্রান্ত ও মৃত্যু ছাড়াই আরও একটি দিন পার করলো দেশটি।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী শহর উহানে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় । এরও দুই সপ্তাহ পর ১৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ে। কিন্তু করোনার বিস্তার রোধে অনেকটা সাফল্য দেখিয়েছে দেশটি।

জানুয়ারির প্রথমার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। চীনের পরপরই থাইল্যান্ডে করোনা তার বিস্তার ছড়াতে শুরু করলেও দেশটির সরকার তা সামাল দিতে সক্ষম হয়। তাই চার মাস পার হলেও সেখানে এখন করোনায় আক্রান্ত সক্রিয় রোগী ১১৪ জন।

করোনা মহামারির সার্বক্ষণিক তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস ডট ইনফোর সবশেষ তথ্য অনুসারে, থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৬ জন মারা গেলেও চিকিৎসা শেষে এখন ২ হাজার ৮৫৫ জন সুস্থ।

মহামারি করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় ভাইরাসটির বিস্তার রোধে জারি করা বিধিনিষেধ শিথিলের পাশাপাশি আগামীকাল রোববার থেকে শপিং মল ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলো খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। রাত্রিকালীন কারফিউ কমিয়ের রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

 এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।