পশ্চিমবঙ্গ-ওডিশার দিকে আরও এগিয়ে ফুঁসছে আম্ফান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫১ পিএম, ১৯ মে ২০২০

ভারতীয় উপকূলের খুব কাছাকাছি চলে গেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ‘সুপার সাইক্লোন’ আম্ফান। দেশটির আবহাওয়া দফতরের দেওয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ওডিশার পারাদ্বীপ উপকূল থেকে মাত্র ৩৬০ এবং পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৫১০ কিলোমিটার দূরে ছিল এর অবস্থান।

পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশা রাজ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীকে (এনডিআরএফ) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই রাজ্য গঠন করেছে ৩৭টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল। প্রতিটি দলে রয়েছেন ৪৫ জন করে সদস্য। সঙ্গে থাকছে উদ্ধারসামগ্রী।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে দেওয়া সবশেষ ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, সুপার সাইক্লোন আম্পান সাগর থেকে উপকূলের বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে। দুপুর ৩টায় এটি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল এটি।

এছাড়া একই সময়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

উভয় দেশের আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ এই সুপার সাইক্লোন যখন স্থলভাগে যখন আছড়ে পড়বে তখন এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে হবে প্রবল জলোচ্ছ্বাস।

পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝোড়ো হাওয়া শুরু হবে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া এলাকায়। এই সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির দিক দিয়ে কলকাতাও রয়েছে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে।

ভারতের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতাতেও। হাওয়ার বেগও ধীরে ধীরে বাড়ছে ওইসব রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার নদীর পানি বাড়ছে। কোথাও কোথাও নদীর বাঁধও ভেঙে গেছে।

এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।