দক্ষিণ এশিয়ায় করোনায় মৃত্যুহার অনেক কম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৭ এএম, ২০ মে ২০২০

দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও অতিরিক্ত জনবহুল হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মহামারি নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় কম কেন তা জানতে গবেষণা শুরু করেছেন বিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রখ্যাত দ্যা ল্যানচেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হচ্ছে, মে মাসের শুরু পর্যন্ত গোটা বিশ্বে যত মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোতে। চীন, ব্রাজিল ও ইরানকে ধরলে তা ৯৬ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা সেন্টার থেকে দেওয়া সবশেষ হিসাব অনুযায়ী এর বিপরীতে দেখা যাচ্ছে যে, পশ্চিমা ধনী দেশগুলোর তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার অনেক জনবহুল দেশ এবং আফ্রিকার কিছু অংশের অনেক দরিদ্র দেশেও মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম।

ইউরোপে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর মৃত্যুহার (সিএফআর) সবচেয়ে বেশি। গড়ে প্রতি একশ জনে ১৫ দশমিক ২ নিয়ে ফ্রান্সে তা সর্বোচ্চ। যথাক্রমে যুক্তরাজ্যে ১৪ দশমিক ৪, ইতালিতে ১৪, স্পেনে তা ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুহার ৬ শতাংশ।

বিপরীতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো কোভিড-১৯ মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এই অঞ্চলে করোনায় মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি আমাদের প্রতিবেশী ভারতে; ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া পাকিস্তানে ২ দশমিক ২, বাংলাদেশে ১ দশমিক ৫ এবং শ্রীলঙ্কায় কোভিড-১৯ এ মুত্যুহার ১ শতাংশ।

ল্যানচেটে প্রকাশিত নিবন্ধে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ক্যাশ ও ব্রিক্রম প্যাটেল লিখেছেন, ‌‘বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী পৃথিবীতে প্রথমবারের মতো কোনো মহামারিতে পশ্চিমে ধনী দেশগুলোর তুলনায় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে মৃত্যুহার কম।’ বিষয়টা অনেকটা অবাক হওয়ার মতো।

তারা বলছেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে পশ্চিমা এসব দেশবাদে বিশ্বের বাকি দরিদ্র দেশগুলো মহামারি কিংবা অন্যান্যা রোগের আধারে যখন পরিণত হয় তখন পশ্চিমের দেশ ও ফাউন্ডেশনগুলো তাদেরকে এর থেকে রক্ষায় নানা উপদেশ পরামর্শ ছাড়াও অর্থ সহযোগিতা করতো। কিন্তু এবার সেই চিত্র ভিন্ন।’

এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।