এক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত শতাধিক মায়ের সুস্থ সন্তান প্রসব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৯ পিএম, ২১ মে ২০২০

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ও দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত শতাধিক মা সুস্থ সন্তান প্রসব করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী গত মাসে মুম্বাইয়ের লোকমান্য তিলক মিউনিসিপ্যাল জেনারেল হাসপাতালে ১১৫ জন মা সন্তান প্রসব করেন। এরমধ্যে তিনজন নবজাতক অবশ্য প্রাথমিকভাবে কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়, তবে পরে তা নেগেটিভ আসলে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

তবে দুঃখের সংবাদ হলো, করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর হাসপাতলটিতে চিকিৎসাধীন দুই গর্ভবতী নারী মারা গেছেন। এর মধ্যে সন্তান জন্ম দেওয়ার আগেই একজনের মৃত্যু হয়। ভারতে করোনা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র মুম্বাইয়ে আক্রান্ত ২৪ হাজারের মধ্যে ৮৪০ জন মারা গেছে।

হাসপাতালের কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানান, মুম্বাইয়ের ওই হাসপাতালটি সিওন হাসপাতাল নামেও পরিচিত। সেখানে আক্রান্ত মায়েদের অর্ধেকের বেশি শিশুরই জন্ম হয়েছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। বাকিদের জন্ম হয়েছে স্বাভাবিকভাবে। নবজাতকদের ৫৬ জন ছেলে এবং ৫৯ জন মেয়ে।

এছাড়া ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ২২ জন মা’কে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তবে এসব অন্তঃসত্ত্বা নারী ঘরে নাকি হাসপাতালের ওয়ার্ডেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।

হাসপাতালটি ৪০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষ ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত এসব অন্তঃসত্ত্বা নারীর চিকিৎসা দেওয়ার কাজে ৬৫ জন চিকিৎসক ছাড়াও ২৪ জন নার্সের একটি দল যুক্ত ছিল। তবে সংক্রমণ বাড়ায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত নারীদের জন্য আরও ৩৪ টি শয্যার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা চলছে।

হাসপাতালটির স্ত্রী প্রসূতি বিভাগের প্রধান ডা. অরুণ নায়ক বলেন, ‘সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হচ্ছে, আক্রান্ত বেশিরভাগ অন্তঃসত্ত্বা নারীরই কোন সমস্যা দেখা যায়নি। কারো কারো জ্বর হয়েছে, শ্বাসকষ্ট দেখা গেছে। আমরা তাদের চিকিৎসা করেছি। সন্তান জন্মের পর বাড়িও পাঠিয়ে দিয়েছি।’

এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।