আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চীনের ভ্যাকসিন
আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চীনের ভ্যাকসিন। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, করোনাভাইরাসের জন্য তৈরি চীনের একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজ আরও এগিয়ে গেছে। খবর ডেইলি মেইলের।
১০৮ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ওই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভালো ফল দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওই স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে এই ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
করোনা রোগীদের দেহে এন্টিবডি উৎপাদন হওয়াটা একটি ভালো লক্ষণ যা তাদেরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। তবে এখনই এ নিয়ে একেবারে নিশ্চয়তা দিতে রাজি নন বিজ্ঞানীরা। তারা এ বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা করতে চান।
ভ্যাকসিন তৈরি কাজ এগিয়ে নিতে এসব বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনা প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়।
যেসব স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগের দেহেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। যদিও তাদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্ডিবডির মাত্রা ছিল কিছুটা কম।
মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানচেটে ওই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে তাদের ভ্যাকসিন সহনীয় হয়ে উঠেছে এবং নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১০৮ জনের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানেই প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরেই তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সারাবিশ্বেই এক ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস।
অংশগ্রহণকারীদের দেহে নিম্ন, মধ্যম ও উচ্চ মাত্রায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারো দেহেই এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু পর থেকেই এর ভ্যাকসিন তৈরীতে উঠে পড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যেই বেশ কিছু দেশে ভ্যাকসিনের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে।
টিটিএন/এমএস