ভ্যাকসিন এলেও করোনা বিলীন হবে না, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ২৮ মে ২০২০

করোনাভাইরাস হয়তো কখনই বিলীন হবে না। ভ্যাকসিন আবিষ্কার এবং ব্যবহার শুরুর পরেও হয়তো বছরের পর বছর করোনার উপস্থিতি থেকেই যাবে এবং মানুষের মধ্যে এর সংক্রমণ ঘটতে থাকবে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষজ্ঞরা করোনা নিয়ে এভাবেই সতর্ক করলেন। এক্ষেত্রে তারা হাম, এইচআইভি এবং চিকেনপক্সের উদাহরণ টেনে এনেছেন।

এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সতর্ক করে বলেছে যে, করোনা হয়তো চিরতরে যাবে না।

সংস্থাটি জানিয়েছে যে, এইচআইভি ভাইরাসের মতো কোভিড-১৯ রোগ সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস স্থানীয় ভাইরাস হয়ে যেতে পারে। তাই বিশ্বজুড়ে প্রতিটি মানুষকে এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা শিখতে হবে। কবে নাগাদ এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

আরও কিছু রোগের মতো করোনাও হয়তো স্থায়ী হয়ে যাবে। বর্তমানে চারটি করোনাভাইরাসের উপস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে, যেগুলোর কারণে সাধারণ ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দেয়। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন কোভিড-১৯ এই তালিকায় ৫ম ভাইরাস হিসেবে স্থায়ীভাবে থেকে যাবে।

jagonews24

ইমিউনিটি সিস্টেম বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই এই ভাইরাসের কার্যকারিতা কমতে শুরু করবে। ফলে আমাদের শরীর এই ভাইরাসের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করবে।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইপিডেমিওলজিস্ট এবং বিবর্তনমূলক জীববিজ্ঞানী সারাহ কোবেই বলেন, এই ভাইরাস এখানেই থাকবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কীভাবে এর সঙ্গেই নিরাপদে থাকতে পারব।

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে তিনজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ রোধে ৬ ফুট দূরত্ব যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রেও সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। একই সঙ্গে তারা বলছেন যে, বাতাসের মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটার বিষয়টিকে বিশ্বকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত।

বিজ্ঞানভিত্তিক একটি জার্নালে সাম্প্রতিক সময়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই সামাজিক দূরত্ব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ।

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, উপসর্গহীন রোগীদের খুঁজে বের করতে প্রতিদিন ব্যাপকহারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন ওই বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সব পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত গাইডলাইনই যথেষ্ট নয়।

এদিকে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাতালি ডিন বলেন, লোকজন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার কথা বলছে। কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়ে ভবিষ্যতের জীবন-যাপন কখনই স্বাভাবিক হবে না।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমরা ভিন্ন উপায় বের করতে পেরেছি এবং এটা আবিষ্কার করেছি যে কোনটি কাজ করছে। এভাবেই আমরা আমাদের সমাজ এবং জীবন-ব্যবস্থা পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছি।

টিটিএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।