করোনা: সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে অ্যান্টিবডি চিকিৎসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৩০ পিএম, ০৮ জুন ২০২০

করোনা মহামারি ঠেকাতে ভ্যাকসিন (টিকা) আবিষ্কারের পাশাপাশি বিদ্যমান নানা ওষুধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে কৃত্রিমভাবে তৈরি অ্যান্টিবডির মাধ্যমে করোনা চিকিৎসার একটি পদ্ধতি সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে দাবি একদল বিজ্ঞানীর।

ব্রিটিশ সুইডিশ যৌথ অংশীদারত্বের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার দাবি, সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে কৃত্রিমভাবে তৈরি অ্যান্টিবডির মাধ্যমে এই চিকিৎসা দেওয়া হলে তা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। খবর ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান অনলাইনের।

অ্যাস্ট্রজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্যাস্কেল সোরিয়ত বলেছেন, এ পদ্ধতিতে দুটি অ্যান্টিবডির সমন্বয় করে তা ইনজেকশনের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রয়োগ করা হবে। কারণ দেহে দুটি অ্যান্টিবডি নেওয়া থাকলে তা একটি অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

তবে ভ্যাকসিন উৎপাদনের চেয়ে অ্যান্টিবডি থেরাপি অনেক বেশি ব্যয়বহুল। সোরিয়ত এ বিষয়ে বলেন, বয়স্ক ও শারীরিকভাবে দুর্বল মানুষের এ ধরনের থেরাপির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কারণ তাদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে ভালো ফলাফল নাও পাওয়া যেতে পারে।

এদিকে চীনে, সাংহাই জুনশি বায়োসায়েন্সেস করোনায় সংক্রমিত হয়নি এমন মানুষদের মধ্যে করোনভাইরাসের বিরুদ্ধে একটি সম্ভাব্য অ্যান্টিবডি চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে গবেষণা শুরু করেছে। গতকাল লিবারেশন ডেইলি তাদের অনলাইন চ্যানেলে এমন খবর জানিয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার করোনা মোকাবিলায় উদ্ভাবন প্রচেষ্টায় নিয়োজিত জোট সিপিআই’র সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে অ্যাস্ট্রজেনেকা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটের তৈরি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন বিশ্বজুড়ে সহজলভ্য করতে এর ৩০ কোটি ডোজ উৎপাদনে সহায়তা করবে জোটটি।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভ্যাকসিন চূড়ান্ত ধাপ পার করার আগেই এর উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে অ্যাস্ট্রজেনেকা। মানবদেহে চালানো পরীক্ষা শেষে এই ভ্যাকসিন কার্যকর প্রমাণের সঙ্গে সঙ্গে যেন তা হাতের নাগালে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কোম্পানিটি।

সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিন নিয়ে ব্রাজিলেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে চালানো পরীক্ষা যথাযথ ছিল কিনা তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলেছে। বিশ্বে যে দশটি করোনা ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ হয়েছে তার মধ্যে এই ভ্যাকসিনটি সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোম্পানি সেকিরাস ঘোষণা দিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন তৈরিতে সহায়তা করতে প্যারেন্ট কোম্পানি সিএসএল, সিইপিআই ও কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছে তারা।

এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।