যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃত্যু ৫০ হাজারের বেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ০৯ জুন ২০২০

মহামারি নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার পার হলো। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে দেওয়া সবশেষ হিসাবে এ তথ্য জানা গেছে। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাস পর্যন্ত যুক্তরাজ্যজুড়ে অন্তত ৫০ হাজার ৪১৩ জন মানুষ কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন। এই তথ্য দিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস), দ্য ন্যাশনাল রেকর্ডস অব স্কটল্যান্ড এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড রিসার্স এজেন্সি।

ওএনএস এর হিসাব অনুযায়ী ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে গত ২৯ মে পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৭৪৮ জন। এছাড়া দ্য ন্যাশনাল রেকর্ডস অব স্কটল্যান্ডের হিসাব বলছে সেখানে ৩১ মে পর্যন্ত ৩ হাজার ৯১১ জন মারা গেছে। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে সেখানে ২৯ মে পর্যন্ত প্রাণহানি ৭৫৪ জনের।

বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে যুক্তরাজ্যের অবস্থান এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর উপরে রয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র; যেখানে ভাইরাসটি ইতোমধ্যে ১ লাখ ১১ হাজারের বিশ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ব্রিটেনে মোট করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ২ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩৪; যা ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

তবে তিনটি অঞ্চলের পরিসংখ্যান ব্যুরোগুলোরে দেওয়া এই হিসাবের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া হিসাবের তফাত রয়েছে। যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সবশেষ হিসাব অনুযায়ী মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৪০ হাজার ৬৮০। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ড্যাশবোর্ডে এই সংখ্যাটাই দেখানো হচ্ছে।

করোনায় মৃতের সংখ্যায় বিশাল এই অমিলের কারণ ভিন্ন ভিন্ন গণনা পদ্ধতি। মূলত সমস্যাটা হচ্ছে, দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মৃতের তালিকায় তাদের নামই অন্তর্ভূক্ত করছে যারা শনাক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন। কিন্ত অনেকে মারা যাওয়ার পর তাদের দেহে যে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত যাচ্ছে তারা এই তালিকায় নেই।

এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।