‘করোনায় বিশ্বজুড়ে প্রাণ বাঁচাবে ডেক্সামেথাসোন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ পিএম, ১৬ জুন ২০২০

করোনায় জীবন রক্ষাকারী প্রথম স্বস্তা এবং ব্যাপক সহজলভ্য ডেক্সামেথাসোন ওষুধটি বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগীদের প্রাণ বাঁচাবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি গবেষণায় করোনার চিকিৎসায় ওষুধটির চমকপ্রদ ফল আসার পর এ মন্তব্য করেছেন ব্রিটেনের প্রধান মেডিক্যাল কর্মকর্তা হুইটি।

১৯৬০ সালের গোড়ার দিক থেকে বাত, হাপানির চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসোন ওষুধটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক কিংবা ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার না হওয়ায় বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা বিদ্যমান ওষুধের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন।

এর অংশ হিসেবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ব্রিটেনের বিভিন্ন হাসপাতালে দুই হাজারের বেশি করোনা রোগীকে পরীক্ষামূলকভাবে ডেক্সামেথাসোন ওষুধটি প্রয়োগ করেন। মঙ্গলবার তাদের এই পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়

গবেষকরা বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কম ডোজের স্টেরয়েড এই চিকিৎসা একটি বড় ধরনের অগ্রগতি। ভেন্টিলেটরে থাকা করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনে ওষুধটি। এছাড়া যারা অক্সিজেন সাপোর্টে আছেন; তাদের মৃত্যুর হার এক পঞ্চমাংশ কমিয়ে আনে।

গবেষকদের ধারণা- ব্রিটেনে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে যদি ওষুধটি পাওয়া যেতো, তাহলে দেশটিতে হয়তো পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো যেতো। কারণ এটা অনেক স্বস্তা। কোভিড-১৯ এর প্রচুর রোগী নিয়ে লড়াইরত বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো ওষুধটি ব্যবহার করে অনেক বেশি উপকার পেতে পারে।

এই পরীক্ষার ফলাফলের ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারের প্রধান মেডিক্যাল কর্মকর্তা অধ্যাপক ক্রিস হুইটি বলেন, এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার ফল এটি। বিশ্বজুড়েই মানুষের জীবন বাঁচাবে ওষুধটি।

গবেষকরা বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এই ওষুধটি সেবন করেছেন এমন প্রত্যেক ২০ জনের মধ্যে ১৯ জনই হাসপাতালে না গিয়েই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন- তাদের বেশি ভাগই সুস্থ হয়েছেন। তবে কারও কারও জন্য অক্সিজেন এবং ভেন্টিলেশনের দরকার হয়েছিল।

সূত্র: বিবিসি।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।