করোনা: সেরে ওঠার পর অ্যান্টিবডিতে কতদিন পর্যন্ত সুরক্ষিত আপনি?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪১ পিএম, ২০ জুন ২০২০

অডিও শুনুন

প্লাজমা বা রক্তরস ব্যবহার করে করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষের অ্যান্টিবডি কাজে লাগিয়ে ভাইরাসকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকটি উৎপাদনের পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে সক্ষম অ্যান্টিবডি আবিষ্কারের প্রায় দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বিজ্ঞানীরা।

এরই মধ্যে নতুন তথ্য উঠে এল নতুন এক সমীক্ষায়। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘নেচার’-এ একদল চীনা বিজ্ঞানী একটি সমীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি বড়জোড় দুই থেকে ছ’মাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম।

২৭ থেকে ৬৬ বছর বয়সী ৩৭ জন উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তকে পর্যবেক্ষণ করে দেখেন, তাদের শরীরে অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা করোনার বিরুদ্ধে বড়জোড় দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে। এই সমীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখেন, উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের অ্যান্টিবডি সাধারণ উপসর্গযুক্ত রোগীদের তুলনায় অনেকটা দুর্বল হয়।

বিজ্ঞানীরা ওই ৩৭ জন উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়ার পর আরও ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে দেখেন। চীনা এই বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ৮১ শতাংশ উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। সেই তুলনায় ৬২ শতাংশ উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীর মধ্যে অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পেয়েছে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।

তাদের দাবি, করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার ১২ মাসের মধ্যেই ৭৫ শতাংশ আক্রান্তের অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ওই প্রতিবেদনে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে আরও দশজন করোনা আক্রান্তকে পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা দেখেন, প্রায় ৫০ শতাংশই অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে ছ’মাসের মধ্যেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই সতর্ক করে বলেছিল, ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হবে, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও তা কতদিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে, সেবিষয়ে এতদিন নিশ্চিত ছিলেন না বিজ্ঞানীরা। এবার এ বিষয়ে কিছুটা ধারণা পেলেন তারা।

তবে ৫০ জনেরও কম রোগীর ওপর করা এই সমীক্ষার তথ্যে এখনই পুরোপুরি নির্ভর করতে চাইছেন না বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। জিনিউজ।

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।