৯৯ বছর বয়সে করোনা জয়
বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ভয়াল থাবা বসিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। কয়েক কোটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যেই লাখ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারাও গেছে।
তবে এতসব খারাপ খবরের মধ্যেও ভালো কিছু খবরও চোখে পড়ছে। প্রাণঘাতী করোনাকেও হার মানিয়ে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। আক্রান্ত অন্যান্যদের বেঁচে থাকার আশা জোগাচ্ছেন তারা।
এমনই এক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। ৯৯ বছর বয়সী এক বৃদ্ধই করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাকে দেখে প্রবীণ অনেক রোগীই বেঁচে থাকার ভরসা পাচ্ছেন।
পশ্চিমবঙ্গের কাঁকুড়গাছির বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ শ্রীপতি ন্যায়বান। বুধবার সুস্থ হয়ে হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন তিনি।
ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা এই বৃদ্ধের দুই ছেলেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ৭২ বছর বয়সী তার বড় ছেলে বর্তমানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছেন। অপরদিকে ৫৩ বছর বয়সী তার অপর ছেলে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা নিয়ে ৯৪ বছর বয়সী করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধ সুস্থ হয়ে উঠেন। কিন্তু ৯৯ বছর বয়সী কেউ করোনা জয় করেছে, গত সাড়ে তিন মাসে এমন কোনও নজির নেই বলেই মনে করছেন সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা।
নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে গত ১১ জুন রাতে এই বৃদ্ধকে মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চারদিন পর রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
শীর্ণকায় ওই বৃদ্ধের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে কম ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এই অবস্থায় বৃদ্ধকে ডায়মন্ড হারবার থেকে কাঁকুড়গাছির বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে প্রায় সপ্তাহখানেক চিকিৎসাধীন থাকার পর তাকে ছুটি দেওয়া হয়।
বেসরকারি নার্সিংহোমের কর্ণধার চিকিৎসক সৌম্যদীপ চক্রবর্তী বলেন, করোনার ক্ষেত্রে সব থেকে জরুরি বিষয় ঠিক সময়ে রোগীকে হাসপাতালে আনা। অনেক সময় রোগীকে বাড়িতে ফেলে রাখা হচ্ছে। হাসপাতালে যখন আনা হচ্ছে তখন আর করার কিছু থাকছে না। সঠিক সময়ে হাসপাতালে এলে ৯৯ বছরের বৃদ্ধকেও করোনা থেকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।-আনন্দবাজার।
টিটিএন/পিআর