আগস্টেই বাজারে আসতে পারে ভারতের ভ্যাকসিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ০৩ জুলাই ২০২০

অডিও শুনুন

বর্তমান বিশ্বে ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। লাখ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। মানবজাতি এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।

ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌড়ে সম্প্রতি নিজেদের নাম লিখিয়েছে ভারত। দেশটিতে বানানো করোনার প্রথম ভ্যাকসিন দেশটির স্বাধীনতা দিবসের আগেই বাজারে আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (বিবিআইএল)-এর সহযোগিতায় কোভ্যাক্সিন নামের করোনার ভ্যাকসিনটি বাজারে আনতে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)।

তবে বাজারে আনার আগে মানবদেহে এই ভ্যাকসিন উপর প্রয়োগ করে দেখার জন্য দেশের অন্তত ১২টি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিএমআর।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য বিশাখাপত্তনম, রোহতক, দিল্লি, পটনা, বেলগাঁও (কর্নাটক), নাগপুর, গোরখপুর, হায়দরাবাদ, গোয়া, আর্য নগর, কানপুর ও কাট্টানকুলাথুরের (তামিলনাড়ু) প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ঢালাও ভাবে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরুর জন্য দেশের ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়েছে আইসিএমআর। এতে লেখা হয়েছে, ভ্যাকসিন বানানোর জন্য সার্স-কভ-২ ভাইরাসের স্ট্রেন সংগ্রহ করা হয়েছিল আইসিএমআর-এর অধীনে থাকা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে।

ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরুর আগে যা যা করণীয় বিবিআইএল-এর সহযোগিতায় সবই করে চলেছে আইসিএমআর।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব দেরি হলেও যেন ১৫ আগস্টের মধ্যেই এই ভ্যাকসিন সবার ব্যবহারের জন্য বাজারে নিয়ে আসা যায় সেজন্য সব ধরনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে দেশের ১২টি প্রতিষ্ঠানকে। ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালানোর জন্য সরকারি অনুমোদনের জন্য আবেদন করতেও বলা হয়েছে।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।