ভারতের তৈরি দ্বিতীয় ভ্যাকসিনও মানবদেহে প্রয়োগ হচ্ছে
দেশে তৈরি করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য আরও একটি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করে পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দিয়েছে ভারত। ভ্যাকসিনটির প্রস্তুতকারক কোম্পানি জাইডাস শুক্রবার এক বিবৃতি দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
করোনার সম্ভাব্য ওই ভ্যাকসিনটি প্রাণীর দেহে প্রয়োগের পর ভাইরাসটির বিরুদ্ধে ‘শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা’ গড়ে ওঠার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া ভ্যাকসিনটি দেওয়ার ফলে সেসব প্রাণীদের দেহে যে অ্যান্ডিবডি তৈরি হয়েছে তা ভাইরাসটি প্রতিরোধে ‘সম্পূর্ণ সক্ষম’ বলেও দাবি করেছে জাইডাস।
ভারতের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে করোনার সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারক জাইডাস গুজরাটভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ক্যাডিলা হেলথ কেয়ারের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এর আগে দেশটিতে প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির ঘোষণা দেয় ভারত বায়োটেক।
ভারত বায়োটেকের উদ্যোগে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’ এবং ‘ন্যাশনাল ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট’-এর গবেষকদের যৌথভাবে তৈরি দেশটির প্রথম করোনা ভ্যাকসিন ইতোমধ্যেই ‘ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া’ থেকে মানবদেহে প্রয়োগের (হিউম্যান ট্রায়াল) অনুমতি পেয়েছে।
জাইডাসের তৈরি এই ভ্যাকসিনটিও চলতি মাসে ভারতে বিভিন্ন অঞ্চলে এক হাজারের বেশি মানুষের দেহে পুশ করা হবে বলে জানিয়েছে ক্যাডিলা হেলথ কেয়ার। এ ছাড়া কোম্পানিটি ভারত ছাড়াও বিশ্বে ভ্যাকসিনের চাহিদা পূরণে নিজেদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে।
জাইডাসের দাবি, তারা যে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে। খরগোশের দেহে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করে দেখা গেছে যে, মানুষের জন্য তৈরি ডোজটি তিনগুণ পর্যন্ত নিরাপদ, খুব সহনশীল এবং বেশ ভালো রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
করোনা প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে গবেষকেরা ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে ছুটছেন। অবশ্য ১৪০টির বেশি ভ্যাকসিনের কয়েকটি ইতোমধ্যেই মানবদেহে প্রয়োগ হয়েছে। তবে ভ্যাকসিন তৈরি ও পরীক্ষার বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে তবেই ভ্যাকসিন ব্যবহারের উপযোগী হয়।
এসএ