ইরানে ফের সংক্রমণ, একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু
প্রাদুর্ভাব শুরুর পর চীনের বাইরে যে কয়েকটি দেশে করোনার প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল এর মধ্যে ইরান অন্যতম। তবে মাঝখানে সেখানে সংক্রমণ কমলেও ফের তা বাড়তে শুরু করেছে। গত একদিনে দেশটিতে নতুন করে ২২১ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছে, যা ফেব্রুয়ারিতে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সর্বোচ্চ।
বিবিসির প্রতিবেদনে দেশটির সরকারি হিসাবের বরাতে জানানো হয়েছে, এ নিয়ে ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩০৫ জনে। বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও ২ হাজার ৭৯ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৫৮ জন।
আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার বিচারে দেশটির ৩১টি প্রদেশের মধ্যে নয়টি প্রদেশকে নতুন করে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। এছাড়া রাজধানী তেহরানসহ আরও দশটি রয়েছে ‘ইয়োলো জোনে’। সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। গত জুন থেকে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ নতুন করে দেখা দেয়।
তেহরানের করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গঠিত টাস্কফোর্সের প্রধান আলিরেজা জালি বুধবার বিবিসিকে বলেন, ‘তেহরান এখন ভঙ্গুর এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত দশদিন ধরে আক্রান্ত, মৃত্যু এবং হাসপাতালের ভর্তির সংখ্যা দ্রুতই বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।’
ফেব্রুয়ারিতে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ইরানের অবস্থা ছিল বিপর্যস্ত। কিন্তু এপ্রিলে এসে সংক্রমণ কিছুটা কমতে শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সরকার বেশিরভাগ ব্যবসাকেন্দ্র পুনরায় খোলার অনুমতি দিয়ে অর্থনৈতি সচল করার পথ অনুসরণ, যে অর্থনীতির অবস্থা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে এমনিতে বিপর্যস্ত।
অর্থনীতি পুনরায় সচল ও জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করলে দেশটিতে ফের সংক্রমণের হার বাড়তে থাকে। এখন তা উদ্বেগজনক অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে। তেহরানের টাস্কফোর্সের প্রধান আলিরেজা জালি বলছেন, ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে হলে নতুন করে ফের বিধিনিষেধগুলো জারি করতে হবে।
এসএ/জেআইএম