ফের সর্বোচ্চ সংক্রমণ নিয়ে বিপাকে জাপান
অডিও শুনুন
জাপানে করোনার সংক্রমণ ফের বাড়ছেই। শুধু বাড়ছেই না, রেকর্ডসংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে গত দুই দিনে। বৃহস্পতিবার একদিনে সর্বোচ্চ ছয় শতাধিক শনাক্তের রেকর্ডের পর শুক্রবার সেই রেকর্ড ভেঙ্গে গেছে। নতুন করে যেসব মানুষ কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন তার অর্ধেকই রাজধানী টোকিওর বাসিন্দা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলছে, গত বৃহস্পতিবার যে ছয় শতাধিক শনাক্ত হন এর মধ্যে ২৮৬টি হচ্ছে রাজধানী টোকিওতে। শুক্রবার টোকিওরও নতুন সেই রেকর্ড ভেঙে যায়। নতুন করে এ দিনে সেখানে শনাক্ত হয় ২৯৩ জন করোনা রোগী। করোনা সংক্রমণের নতুন এই ঢেউ নিয়ে বিপাকে পড়েছে জাপান।
গত প্রায় দুই সপ্তাহ সময় ধরে জাপানের রাজধানী টোকিওসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ভাইরাসটির সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্তে আগের রেকর্ড ভেঙ্গে যাচ্ছে। শুক্রবার দেশটিতে নতুন করে ৬২৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। গত ১০ এপ্রিলের পর দেশটিতে একদিন এত মানুষ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়নি।
তবে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার এমন সময়ে দ্বিতীয় দফায় ভাইরাসটির সংক্রমণের লাগাম টানতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছেন জাপানের নীতিনির্ধারকেরা। এর মূল কারণ হচ্ছে, জনস্বাস্থ্য আর অর্থনীতির মধ্যে মোটা দাগের কোন বিভাজন টেনে দেওয়া যায়, তা নিয়ে সরকারি মহলের সিদ্ধান্তহীনতা।
জাপানের অন্যান্য জনবহুল শহর ও অঞ্চলগুলোতেও ঊর্ধ্বমূখী সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। টোকিও লাগোয়া তিন প্রশাসনিক অঞ্চল কানাগাওয়া, সাইতামা ও চিবাতেও সংক্রমণ বাড়ছে। এছাড়া প্রায় সংক্রমণমুক্ত হিসেবে চিহ্নিত জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ওসাকাতেও ফের সংক্রমণ বাড়ছে।
প্রাদুর্ভাব শুরুর পর জরুরি অবস্থা জারিসহ প্রতিরোধমূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল জাপান সরকার। এরপর দেশটিতে ভাইরাসটির সংক্রমণও কমতে শুরু করে। ফলে গত ২৫ মে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার হয়। রয়টার্স বলছে, জরুরি অবস্থাসহ বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে।
তবে দ্বিতীয় দফায় সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড হলেও নতুন করে গত একদিনে দেশজুড়ে কোনো কোভিড-১৯ রোগী মারা যায়নি বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জাপানে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি মানুষের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৯৮ জন মারা গেছে; সুস্থ প্রায় ১৯ হাজার।
এসএ