করোনার ২য় ঢেউ : ইরানে ২৪ ঘণ্টায় ২২১ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১০ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২০

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি হয়েছে ইরান। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২২১ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সীমা সাদাত লারি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ পরীক্ষায় আরও ২ হাজার ৬২১ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। ফলে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৩৪ জনে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ১৫ হাজার ৭৪ জন।

তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেঝেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৩০ জন। তবে এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ৩ হাজার ৬৬৭ জন। দেশজুড়ে ২০ লাখের বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের এই কর্মকর্তা।

নতুন করে করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যু বৃদ্ধি পাওয়ায় ইরানে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। যদিও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ইতোমধ্যে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মারাত্মক চাপের মুখে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে করোনার ভয়াবহ প্রকোপ দেখা যায় ইরানে।

দেশটিতে প্রথম করোনায় একদিনে দু’জনের প্রাণহানি ঘটে রাজধানী তেহরান থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরের কোম শহরে। করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ১৫৮ জনের প্রাণহানি ঘটে গত ৪ এপ্রিল। পরে এই সংখ্যা সর্বনিম্ন ৩৪ জনে নেমে আসে ২৫ মে।

প্রথম ধাক্কা সামলে করোনার কারণে জারিকৃত লকডাউনে শিথিলতা আনা হয় জুনে। লকডাউন শিথিলের পর জুলাইয়ে আবারও সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়তে শুরু করে। সংক্রমণের নতুন ঢেউ সামলাতে দেশটির সরকার সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা জারি করে।

গত সপ্তাহে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী মাসগুলোতে দেশটির ৩ থেকে সাড়ে তিন কোটি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়া গত পাঁচ মাসে দেশটির অন্তত আড়াই কোটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হয়।

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।