উপসর্গ না থাকলে ১০ দিন পর আইসোলেশনের দরকার নেই: সিডিসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০২ এএম, ২৭ জুলাই ২০২০

অডিও শুনুন

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর নয়, তাদের করোনা নেগেটিভ প্রমাণের জন্য দ্বিতীয়বার পরীক্ষার দরকার নেই। উপসর্গ দেখা দেয়ার ১০ দিন পর তাদের আইসোলেশনে রাখাসহ বাড়তি সতর্কতারও আরও প্রয়োজন হবে না। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) সংশোধিত নির্দেশিকায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সিডিসি বলছে, বেশিরভাগ করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেয়ার ১০ দিন পর এবং জ্বরের সমাধানের ২৪ ঘণ্টা পর অন্যান্য উপসর্গের উন্নতি ছাড়াই আইসোলেশন (বিচ্ছিন্নকরণ) ও সতর্কতা বন্ধ করে দেয়া যাবে। যারা করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন কিন্তু কোনও উপসর্গ নেই, তাদের আরটি-পিসিআর টেস্টে পজিটিভ শনাক্তের সময় থেকে ১০ দিন পর আইসোলেশন ও সতর্কতা তুলে নেয়া যাবে।

বোস্টন মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জোশুয়া বারোকাস বলেন, ‘অনেক চিকিৎসক বহুদিন ধরেই অনুভব করছেন, আইসোলেশন শেষ করতে নেগেটিভ টেস্টের প্রয়োজনীয়তা কোনও বাস্তবসম্মত সমাধান নয়।’

তবে ১০ দিন নিয়মের কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা দুর্বল, তারা আরও দীর্ঘদিন সংক্রামক থাকতে পারেন।

jagonews24

ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. উইলিয়াম শ্যাফনার বলেন, ‘স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ১০ দিন পর আর সংক্রামক থাকেন না বলে আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।’

গত সপ্তাহে সংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি ব্রেট গিরয়ের বলেছেন, ‘সংক্রমণ নিশ্চিতের পর নেগেটিভ টেস্টের প্রয়োজন হয়েছিল শুরুর দিকে প্রমোদতরিতে সংক্রমণ ছড়ানোর পর যেসব লোক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন এবং বাইরে আসতে চাচ্ছিলেন তাদের জন্য। সেটি এখন আর প্রয়োজন নেই এবং এটি (নেগেটিভ টেস্ট) চিকিৎসাগতভাবেও অপ্রয়োজনীয়।’

সিডিসি আরও জানিয়েছে, সংক্রমণের তিন মাস পরও আক্রান্তদের শরীরে ভাইরাসের কণা থাকতে দেখা গেছে। যদিও ওই কণাগুলো থেকে রোগ ছড়াতে পারে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সূত্র: এনবিসি নিউজ
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।