ভ্যাকসিন তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে করোনার জিনগত পরিবর্তন
ভ্যাকসিন তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে করোনার জিনগত পরিবর্তন। সম্প্রতি গবেষকরা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ডি৬১৪জি হিসেবে পরিচিত করোনার জিনগত পরিবর্তনের কারণে সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
এই জীনগত পরিবর্তনের ফলে ভাইরাস আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ফলে তারা দেহের কোষগুলোকে আরও বেশি সক্রিয়ভাবে আক্রান্ত করতে পারছে।
তবে মানবদেহে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন খুব একটা সমস্যা করছে না। তবে চূড়ান্ত ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে এই জীনগত পরিবর্তন ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন গবেষকরা।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে বেশ কিছু দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। তারা মানবজাতিকে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, করোনা নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু তথ্য নতুন করে আতঙ্কের জন্ম দিচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও বেশ কিছু রোগীর হৃদযন্ত্রে নতুন সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
সম্প্রতি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এমন রোগীদের তিন চতুর্থাংশের মধ্যে হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা গেছে। এমআরআই রিপোর্টে তাদের হৃদযন্ত্রের সমস্যার চিত্র উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন জার্মানির জামা কার্ডিওলজির একদল চিকিৎসক।
এদিকে ইউনিভার্সিটি হসপিটাল ফ্রাঙ্কফুটের চিকিৎসক ডা. ভ্যালেন্তিনা পান্টমান রয়টার্সকে বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণে কিছু রোগীর ক্ষেত্রে হৃৎযন্ত্রে ভয়াবহ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, ৪৫ থেকে ৫৩ বছর বয়সী প্রায় ১শ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, এদের মধ্যে ৭৮ জনেরই হৃদপিন্ডের পেশী এবং অন্যান্য অংশে প্রদাহ দেখা দিয়েছে।
এর মধ্যে ৬৭ জন বাড়িতে থেকেই কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অপরদিকে ৩৩ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
টিটিএন/পিআর