ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তরুণরা
ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা বলছেন, ইউরোপে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে তরুণ-যুবকদের ভূমিকা থাকতে পারে। খবর বিবিসির।
সংস্থাটির ইউরোপ অঞ্চলের পরিচালক ডা. হ্যান্স ক্লুগ বলেন, তরুণ-যুবকদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। ইউরোপে হঠাৎ করেই সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হয়তো এটাই।
ডা. ক্লুগ বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকারের উচিত এখনই তরুণ জনগোষ্ঠীকে সঠিক বার্তা দিয়ে সতর্ক করা।
তিনি বলেন, একের পর এক বিভিন্ন দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। আমরা বুঝতে পারছি এটি হচ্ছে মানুষের আচরণে পরিবর্তনের কারণে।
কয়েকটি দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে কম-বয়সীরা অধিক মাত্রায় সংক্রমিত হচ্ছে। সুতরাং তাদেরকে কীভাবে সাবধান করা যায় তা নিয়ে বিশেষ ভাবনা-চিন্তার প্রয়োজন আছে বলে উল্লেখ করেছেন ডা. ক্লুগ।
তিনি বলেন, দুই মেয়ের বাবা হিসেবে তিনি নিজে বুঝতে পারছেন যে, তরুণরা এই গ্রীষ্মকাল ঘরে বসে কাটিয়ে দিতে চাইছে না। কিন্তু তাদের যেমন নিজেদের ব্যাপারে দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি তাদের বাবা-মা, দাদা-দাদী এবং পুরো সমাজের প্রতিও দায়িত্ব রয়েছে।
তার মতে, এ বিষয়ে কীভাবে সাবধান থাকতে হবে সে বিষয়ে সবাই ইতোমধ্যেই জেনে গেছেন। সুতরাং প্রতিটি মানুষকে এই জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে স্পেন, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি এবং ফ্রান্সে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্য সবচেয়ে বেশি। স্পেনে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ২৭ হাজার ৬৯০। এর মধ্যে মারা গেছে ২৮ হাজার ৪৩৬ জন।
যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৬৯২ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৪৫ হাজার ৮৭৮ জন।
এদিকে ইতালিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৮৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৫ হাজার ১২৩ জন।
জার্মানিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৩৩৯ জন। মারা গেছে ৯ হাজার ২০৭ জন। অপরদিকে, ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮০৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজার ২২৩ জনের।
টিটিএন