লাতিন আমেরিকায় করোনায় মৃত্যু ২ লাখ ছাড়াল
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে করোনায় মৃতের সংখ্যা শনিবার রাতে দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের অন্যতম করোনা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা অঞ্চলটির দেশগুলোতে কোভিড-১৯ এর বিস্তার এখনও লাগামছাড়া। করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠকাতে সরকারের সীমাবদ্ধতাগুলো চরম রুপ ধারণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরপরই করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ব্রাজিল ও মেক্সিকোতে। দেশ দুটি লাতিন অঞ্চলের। গোটা লাতিন আমেরিকায় যতজন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছে তার ৭০ শতাংশই হয়েছে এই দুই দেশে। উভয় দেশই করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাকি দেশগুলোর অবস্থাও ভালো না।
অঞ্চলটির দেশগুলোর অর্থনীতি মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর এই সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই খুলে দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ অর্থনৈতিক কার্যক্রম। আর তাতে সংক্রমণে যে ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে তা আশঙ্কাজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও অঞ্চলটির দেশগুলোকে সতর্ক করেছে।
গত সপ্তাহে ব্রাজিলে রেকর্ড সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৯৫ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা যান। শনিবারও দেশটিতে ১ হাজার ৮৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। একইদিনে মেক্সিকোতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৮৪ জন। প্রথমবারের মতো দেশটিতে একদিনে ৯ হাজারের বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোও করোনার বিস্তার ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করেও ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারা পেরুতে গতদিনে কোভিড-১৯ আক্রান্ত আরও ১৯১ জন মারা গেছে। কমবেশি মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে বাকি দেশগুলোতেও।
এসএ/পিআর