চীনা ভ্যাকসিনে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিবডি, করোনা নিমূর্লের আশা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৩ এএম, ১৫ আগস্ট ২০২০

অডিও শুনুন

মডার্না বায়োটেক, ফাইজার, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতোই তৃতীয় ধাপে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে এগিয়ে রয়েছে চীনের ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট সিনোফার্ম। সম্প্রতি সৌদি আরবে শুরু হয়েছে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল। প্রথম দুই ধাপে এটি কেমন কাজ করেছে তার ফলাফল প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সিনোফার্ম জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ৯৬ জনকে অল্প ডোজে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে দেয়া হয়েছে ২২৪ জন। এ পর্যায়ে ডোজের পরিমাণ সামান্য বাড়ানো হয়। এতদিন পর্যবেক্ষণে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা। প্রত্যেকের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে তাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

সিনোফার্মের গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন শরীরে প্রবেশ করে রক্তের বি-লিম্ফোসাইট কোষ তথা বি-সেলকে সক্রিয় করে তুলছে। ফলে রক্তে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, পাশাপাশি টি-সেলও সক্রিয় হয়েছে। টি-সেল হলো শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার মূল অস্ত্র। শরীরে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা প্যাথোজেন ঢুকলে সেটি মোকাবিলায় টি-সেল শরীরের স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে শরীরে ঢোকা ভাইরাল অ্যান্টিজেনকে আটকাতে একটা সুরক্ষা বলয় তৈরি হয়। যেকোনও ভ্যাকসিন গবেষণার মূল লক্ষ্যই থাকে বি-সেল ও টি-সেলকে সক্রিয় করে এই সুরক্ষা বলয় তৈরি করা। সিনোফার্মের দাবি, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন এই কাজ ঠিকভাবেই করছে।

সম্প্রতি‘জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন’-এ এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। চীনের ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটেউটের দাবি, এই ভ্যাকসিন মানুষের জন্য পুরোপুরি নিরাপদ। তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে সৌদি আরবে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবককে চীনের এ ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।

সূত্র: দ্য ওয়াল
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।