টানা ১৮ দিন বিশ্বে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ভারতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৭ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২০

অডিও শুনুন

মঙ্গলবার টানা আঠারো দিনের মতো বিশ্বের মধ্যে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ভারতে। শীর্ষ আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল এ ক্ষেত্রে পেছনে পড়েছে ভারতের। দেশটির সরকারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে করা হিসাবের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানুয়ারির শেষদিকে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর মার্চের শেষদিকে কঠোর লকডাউন জারি সত্ত্বেও জুলাইয়ের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা ছাড়ায় ১৬ লাখ। আর আগস্টের শুরু থেকে নতুন করে ১৫ লাখসহ মোট ৩১ লাখ সংক্রমণ নিয়ে শীর্ষ আক্রান্তে ভারতের অবস্থান এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর।

ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে দ্রুত। টানা দশ দিন ধরে দৈনিক শনাক্ত রোগী ছিল গড়ে ৬০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে কোনো কোনো দিন তো তা ছিল প্রায় ৭০ হাজার। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রায় ৬১ হাজার মানুষের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

ভারতের জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা অলাভজনক সংগঠন পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার মহামারি বিশেষজ্ঞ গিরিধর বাবু এ প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আক্রান্তের দিক দিয়ে আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে যাই তাতেও আমি অবাক হবো না‘।

আক্রান্ত ৩১ লাখের বেশি হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অবশ্য ভারতে মৃত্যুহার কিছুটা কম। মোট করোনা সংক্রমিত মানুষের মধ্যে ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ অর্থাৎ ৫৮ হাজার ৩৯০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের তুলনায় বিশ্বে করোনায় গড় মৃত্যুহার কিছুটা বেশি— ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

ভারতে প্রথম করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত মার্চের মাঝামাঝি। আর জুলাই শেষ হতে হতে তা বেড়ে হয় ৩৫ হাজার ৭০০ জন। আগস্টে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৬০০ জন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ভারতে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার অবশ্য করোনায় সুস্থতার হারকে সামনে তুলে ধরছে। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, দেশের যে ৩১ লাখ মানুষ মহামারি নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ এখন সুস্থ।

এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।