যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি
বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়ছেই। চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাস দুই শতাধিক দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে করোনার হটস্পট ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা এবং টেক্সাকে দিন দিন সংক্রমণ বাড়ছেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের ৬০ লাখ ১৫ হাজার ৩১৭। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫৯ জন।
দেশটিতে ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৩ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৪ জন। বর্তমানে দেশটিতে অ্যাক্টিভ কেস ২৫ লাখ ১৪ হাজার ৯৬৪। অপরদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ১৬ হাজার ৩৯২ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৪৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৯। এর মধ্যে মারা গেছে ৮ লাখ ৩২ হাজার ৪৩৭ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৩ জন।
তবে করোনা সংক্রমণে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছে নেই কোনো দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, নিউইয়র্ক, জর্জিয়া, ইলিনয়েস, আরিজোনা, নিউ জার্সি, নর্থ ক্যারোলিনা এবং টেনেসিতে সংক্রমণের হার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি।
এদিকে, করোনা মহামারির মধ্যেই তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় লরা। শক্তিশালী ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় লুইজিয়ানায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। এটাই দেশটিতে চলতি বছরে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়।
ঘূর্ণিঝড় লরা নর্থওয়ার্ডের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় লেক চার্লস এলাকায় বহু বাড়ি-ঘরের ছাদ উড়ে গেছে, কাঁচের দরজা জানালা ভেঙে পড়েছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, শক্তিশালীয় ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
লুইজিয়ানা রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়কে ক্যাটাগরি চার মাত্রা বলে উল্লেখ করেছে ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার। তবে ধীরে ধীরে এই ঝড়ের শক্তি কমে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে এটি ক্যাটাগরি ২ মাত্রার ঝড়ে পরিণত হয়েছে।
টিটিএন