১০ দিনে করোনা জয় করলেন ১০৬ বছরের বৃদ্ধা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪১ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

মাত্র ১০ দিনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ভারতের মহারাষ্ট্রের ১০৬ বছরের বৃদ্ধা। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্লিনিকের নার্স-ডাক্তাররা তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেন। তিনি সাংবাদিকদের সামনে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট তুলে ধরে দেখিয়ে হাসপাতাল ছাড়েন।

মহারাষ্ট্রের ঠাণের ডম্বিভেলির শতবর্ষ পেরনো ওই বৃদ্ধার পুত্রবধূ বলেন, করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর বয়সের কারণে তাকে কোনো হাসপাতাল ভর্তিই নিতে চাইছিল না। শেষ পর্যন্ত ১০ দিন আগে সাভলারাম ক্রীড়া সংকুলে (স্পোর্টস কমপ্লেক্স) কল্যাণ ডম্বিভেলি পুরসভা স্থাপিত করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি হতে পারেন তিনি। সেখানকার ডাক্তার, নার্সদের সেবা-যত্নে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি।

চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালনা করা ওয়ান রুপি ক্লিনিকের (১ টাকার ক্লিনিক) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রাহুল গুলে বৃদ্ধার দারুণ সেবা-যত্ন করায় তার টিমের প্রশংসা করে বলেন, আমাদের দেখে খুব ভাল লাগছে যে, উনি চিকিৎসায় সফলভাবে সাড়া দিয়েছেন। গত ২৭ জুলাই চালু হওয়া হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত ১১০০ করোনা রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

চিকিৎসা খরচ বাবদ রোগীদের কাছ থেকে মাত্র ১ টাকা নেয় ‘ওয়ান রুপি ক্লিনিক’। মূলত রেল দুর্ঘটনায় জখম লোকজনের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসায়, সাধারণ মানুষের সেবায় সেন্ট্রাল রেলওয়ের শহরতলি শাখার বাছাই করা কয়েকটি স্টেশনেই এ ধরনের ক্লিনিক তৈরি হয়েছে।

বৃদ্ধার সঠিক চিকিৎসা হওয়ায় কেডিএমসি’র স্টাফদের ও শিবসেনার কল্যাণ কেন্দ্রের এমপি শ্রীকান্ত শিন্ডের প্রশংসা করে টুইট করেছেন মহারাষ্ট্রের ক্যাবিনেট মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে। তিনি বলেছেন, ওই বৃদ্ধা ও তার মতো আরও অনেকের আশীর্বাদ সবার শক্তি, উৎসাহ বাড়াবে।

কেডিএমসির মুখপাত্র মাধুরি ফোপালে বলেন, পুর এলাকায় এ পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৩০১ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মৃত্যু হয়েছে ৭৬২ জনের। কল্যাণ-ডম্বিভ্যালি এলাকায় মোট অ্যাক্টিভ করোনা রোগী বর্তমানে ৫৪৫১ জন। এদিকে সুস্থ হয়েছেন ৩২ হাজার ৮৮ জন।

এমএসএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।