‘টুইনডেমিক’ আতঙ্কে চীনে ফ্লু ভ্যাকসিনের সংকট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৯ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২০

একদিকে করোনাভাইরাস মহামারি, অন্যদিকে শীতকালে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের শঙ্কায় চীনে দেখা দিয়েছে ফ্লু ভ্যাকসিনের ঘাটতি। ফলে ফার্মেসি বা ওষুধের দোকানের সামনে লেগে গেছে দীর্ঘ লাইন, অনলাইনে সেগুলো বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে চারগুণ দামে। এরপরও অনেকেই ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।

একইসঙ্গে করোনা ও ফ্লু সংক্রমণকে অনেকে টুইনডেমিক বলে অভিহিত করেছেন। এটি প্রতিরোধে গত সেপ্টেম্বরে ফ্লু ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন শুরু করে চীন।

চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফ্লু সংক্রমণের সঙ্গে কোভিড-১৯ রোগীদের প্রাথমিক উপসর্গের মিল থাকায় শীতকাল আসলে এটি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে উঠতে পারে। দু’টি ভাইরাসের যৌথ আক্রমণে মৃত্যুহারও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই ঝুঁকি মোকাবিলায় শীতের আগেই জনগণকে ফ্লু ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ কারণে ফ্লু ভ্যাকসিন প্রদানের হার বাড়াতে বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে চীনা সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লু ভ্যাকসিন গ্রহণের হার প্রায় ৫০ শতাংশ, অথচ চীনে এর পরিমাণ মাত্র ২ শতাংশের মতো। তবে চলতি বছর এটি দ্বিগুণ হবে বলে আশা করছেন চীনা বিশেষজ্ঞরা।

vaccine--1.jpg

দেশটির কিছু শহরে গত আগস্ট থেকেই শুরু হয়েছে ফ্লু ভ্যাকসিনের ক্যাম্পেইন। তবে এরই মধ্যে অনেক জায়গায় ডোজের ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

বেইজিংয়ের চাওয়াইয়াংমেন কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের এক কর্মকর্তা জানান, তাদের হাতে যে ভ্যাকসিন রয়েছে, তাতে পোষাবে না। হাসপাতালটিতে অন্তত ১ হাজার ২০০ লোক ভ্যাকসিন নিতে নাম লেখালেও সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ তাদের কাছে ছিল মাত্র ৪০০টি ডোজ।

আরেক জেলা ডংঝিমেনের একটি হাসপাতাল জানিয়েছে, তাদের তালিকায় এক হাজারের বেশি লোক থাকলেও ফ্লু ভ্যাকসিনের ডোজ রয়েছে মোটে ১৮০টি।

আবার, অনেক ওয়েবসাইটে ফ্লু ভ্যাকসিন বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ ইউয়ানে, যা সরকারি হাসপাতালে দামের প্রায় তিনগুণ। এ ধরনের প্রবণতা রোধে দ্রুত কঠোর আইন জারির দাবি জানিয়েছেন অনেকে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

কেএএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।