মাত্র একজন পর্যটকের জন্য খুলল মাচু পিচুর দ্বার
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ প্রায় সাত মাস আটকে পড়া মাত্র একজন পর্যটকের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে প্রাচীন ইনকা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ মাচু পিচু শহর। জাপানি ওই পর্যটক পেরুর সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন করার পর তার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় মাচু পিচুর দ্বার।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, জাপানি পর্যটক জেসে তাকাইয়ামা গত মার্চে পেরুতে যান। কিন্তু সেই সময় করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশটির সরকার বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ মাচু পিচু শহরে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করে।
পেরুর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আলেজান্দ্রো নেয়রা বলেছেন, একটি বিশেষ আবেদন করায় তাকাইয়ামাকে মাচু পিচু শহরে ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়।
প্রাচীন ইনকা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষের স্মৃতিচিহ্ন বহনকারী মাচু পিচু বিশ্বের পর্যটকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় এক স্থান। আগামী মাসে এই শহরে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি মিলতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেখানে পর্যটকদের প্রবেশের সংখ্যা কমিয়ে আনা হতে পারে। তবে মাচু পিচু কবে খুলে দেয়া হতে পারে; সেবিষয়ে পেরুর সরকার এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তারিখ জানায়নি।
গত মার্চে কয়েক দিনের অবসর কাটানোর জন্য পেরুতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাকাইয়ামা। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপের কারণে মাচু পিচুর কাছের শহর অগাস ক্যালিয়েন্টেসে আটকে পড়েন তিনি।
সোমবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আলেজান্দ্রো নেয়রা বলেন, মাচু পিচুতে প্রবেশের স্বপ্ন নিয়ে পেরুতে এসেছিলেন তাকাইয়ামা। দেশে ফেরার আগে স্বপ্ন যেন পূরণ হয় সেজন্য গত শনিবার তাকে মাচু পিচু শহরের প্রধানের সঙ্গে ধ্বংসাবশেষে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
মাচু পিচু পর্বতের চূড়ায় একটি ভিডিও ধারণ করেছেন জাপানি ওই পর্যটক। এতে তাকে বহুল প্রতীক্ষিত মাচু পিচু সফর উপভোগ করতে দেখা যায়। তাকাইয়ামা বলেন, এই সফরটি সত্যিই চমকপ্রদ। আপনাকে ধন্যবাদ।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পেরুতে ৮ লাখ ৪৯ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৩৩ হাজারের বেশি।
সূত্র: এএফপি।
এসআইএস/জেআইএম