করোনা সংকটে যক্ষ্মা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার শঙ্কা ডব্লিউএইচও’র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিভিন্ন সংকট তৈরি হওয়ায় নিকট ভবিষ্যতে যক্ষ্মা রোগের প্রকোপ আবারও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সম্প্রতি যক্ষ্মা প্রতিরোধ বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও বলছে, করোনা প্রতিরোধে লকডাউন দেয়ার ফলে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে যক্ষ্মা সংক্রমণের তথ্য জানানো এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ তিন দেশ- ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনসে এবছরের প্রথম ছয় মাসে যক্ষ্মা সংক্রমণের খবর কমেছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। সর্বাধিক করোনা সংক্রমিত দেশের তালিকাতেও রয়েছে এশিয়ার এ তিনটি দেশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, সংক্রমণের খবর কমে যাওয়ায় নাটকীয়ভাবে যক্ষ্মায় মৃত্যুর হার বেড়ে যেতে পারে।

সংস্থাটির প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি সাম্প্রতিক বছরগুলোর অর্জন হুমকিতে ফেলেছে। আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বিশ্বব্যাপী জরুরি পদক্ষেপ দরকার।

ডব্লিউএইচও’র তথ্যমতে, করোনা মহামারিতে যক্ষ্মা প্রতিরোধের তহবিল সংগ্রহই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

jagonews24

চলতি বছর যক্ষ্মা প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও সেবার জন্য মাত্র ৬৫০ কোটি মার্কিন ডলার জোগাড় হয়েছে, যা এ কার্যক্রমের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র অর্ধেক।

বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ মনে করা হয় যক্ষ্মাকে। এর জন্য দায়ী ভাইরাসটি মানুষের ফুসফুসে আক্রমণ করে এবং সহজেই অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে যক্ষ্মা নিরাময় ও প্রতিরোধযোগ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য থেকে জানা যায়, প্রায় ৮৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীকেই ছয় মাস নিয়মিত ওষুধ সেবন করিয়ে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। এ চিকিৎসার মাধ্যমে ভাইরাসটি অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়াও প্রতিরোধ করা যায়।

২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছয় কোটির বেশি যক্ষ্মা রোগীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি সংস্থাটির।

সূত্র: আল জাজিরা

কেএএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।