জার্মানির করোনা পরিস্থিতি ‘খুবই উদ্বেগজনক’
মারাত্মকভাবে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির মুখে পড়েছে জার্মানি। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। তবে পদ্ধতিগত উপায় অবলম্বনের সঙ্গে সঙ্গে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা গেলে এখনও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। কিন্ত সামগ্রিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। এসব বলেই সতর্ক করেছেন জার্মানির শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
দ্বিতীয় দফায় ইউরোপজুড়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাইতো বৃহস্পতিবার নতুন করে জার্মানিতে একদিনে রেকর্ড সর্বোচ্চ ১১ হাজার ২৮৭ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর দেশের সামরিক পরিস্থিতি তুলে ধরে এমন কথাই বলেন দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ রবার্ট কচ ইনস্টিটিউটের সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান লোথার ওয়েলার।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইউরোপের প্রায় সব দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে। জার্মানি এর মধ্যে একটি। বুধবারের ৭ হাজার ৫৯৫ এর চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার জার্মানিতে এক লাফে সংক্রমণ বহু বেড়েছে। গত শুক্রবার দৈনিক সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮৩০ সংক্রমণের রেকর্ড হয়। আজ বৃহস্পতিবার যা ১১ হাজারের বেশি।
নতুন করে প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জার্মানি ছাড়াও অনেক দেশ ফের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নয়তো ফের আরোপের পরিকল্পনা করছে। বেশি মানুষের একসঙ্গে হওয়া ছাড়াও রেস্তোরাঁ, পাব ও বার বন্ধ কিংবা নির্দিষ্ট সময় খোলা রাখার নির্দেশনা জারি হয়েছে। তবে সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে তা আরও কঠোর হতে পারে।
বার্লিনে স্থানীয়ভাবে আরোপ করা হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। জার্মানির এই রাজধানী শহরের কিছু ব্যস্ত সড়কে এখন মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কচ ইনস্টিটিউটের সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান অবশ্য নাটকীয়ভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছে ব্যাক্তিগত সমাবেশকে— বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সংক্রমণ ছড়ানোর শীর্ষে রয়েছে তরুণরা। ব্যক্তিগত পরিসরে যত বেশি মানুষ একত্রিত হবেন সংক্রমণের সংখ্যাও তত বাড়বে। ভাইরাসের বিস্তার ছড়াবে আরও দ্রুত গতিতে।’ তিনি সবাইকে করোনার স্বাস্থবিধিগুলো মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোয়।
একে অপরের সঙ্গে মিলিত না হয়ে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলও। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় এর জন্য এর জন্য তিনি সচেতন থাকতে বলেছেন তরুণদের।
জার্মানিতে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯ হাজার ৯০৫ জন; যা ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।
এসএ/জেআইএম