ফেব্রুয়ারি নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানি ৫ লাখ ছাড়াবে : গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২০

দ্বিতীয় দফায় মহামারি করোনার প্রকোপে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে দেশটিতে। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ হতে পারে বলে শঙ্কা গবেষকদের।

ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড এভালুয়েশনের (আইএইচএমই) গবেষকরা বলছেন, যদি আমেরিকানরা মাস্ক না পরেন তাহলে ফেব্রুয়ারিতে মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ হতে পারে। শীতের কারণে অনেকে ঘরে থাকবেন। বিশেষ করে বদ্ধ জায়গায় ও দুর্বল বায়ু নিষ্কাশন ব্যবস্থায় ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়াবে দ্রুত।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে ৮৪ হাজার ২১৮ জনের কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এটি একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্তের রেকর্ড। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড ছিল গত ১৬ জুলাই; ৭৭ হাজার ২৯৯ জন। গত ১৭ সেপ্টম্বর ৯৭ হাজার ৮৯৪ শনাক্ত নিয়ে দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণে শীর্ষে আছে শুধু ভারত।

ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড এভালুয়েশনের পরিচালক ও গবেষণাটির সহ-লেখক ক্রিস মুরে বলেন, ‘আসন্ন শীতে আমরা মারাত্মক সংক্রমণ বৃদ্ধির দিকে ধাবিত হচ্ছি।’

আইএইচএমই বলছে, যদি ৯৫ শতাংশ আমেরিকান মাস্ক ব্যবহার করেন তাহলে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের পরিচালক প্রধান ড. অ্যান্থনি ফাউচিও এমন কথাই বলেছেন।

মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজারও করে বলেছেন, ব্যাক্তি মানুষের আচরণের ওপর নির্ভর করে দেশজুড়ে বাড়বে করোনার সংক্রমণ। রোগটির বিস্তার ছড়ানোর ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হবে ঘরে আবদ্ধ থাকার বিষয়টি।

কিন্তু এ সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আসন্ন নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের সঙ্গে শেষ বিতর্কে দাবি করেছেন, করোনার চলে যাচ্ছে। মার্কিনিরা এর সঙ্গে বাস করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।