ভারতে ৪ মাসে সর্বনিম্ন সংক্রমণ
ভারতে গত ৪ মাসের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ সবচেয়ে কমেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৫৪৮ জন। এর আগে গত জুলাই মাসের ১৫ তারিখে সবচেয়ে কম সংক্রমণ দেখা গেছে। সে সময় দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৩০ হাজারের কম। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৪২৯।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এর মধ্যেই সংক্রমণ ৮৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৭। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১০৯। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৭৯ জন।
এদিকে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে আরও ৪৩৫ জন। গতকালের চেয়ে দৈনিক সংক্রমণ ২৫ শতাংশ কমে গেছে। গতকালের হিসাব অনুযায়ী, দৈনিক আক্রান্ত হয়েছে ৪১ হাজার ১শ জন।
ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র। সেখানেই এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ভারতে মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশ ওই রাজ্যে। সেখানে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ।
মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে মারা গেছে প্রায় ১১ হাজার। এর পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলোর চেয়ে ভারতে কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার হার বেশি। দেশটিতে আক্রান্তদের মধ্যে সাড়ে ৯৩ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছে উঠেছে ৪৩ হাজার ৮৫১ জন। গত কয়েক দিনে নতুন আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ছিল বেশি। ভারতের অধিকাংশ রাজ্যেই দৈনিক সংক্রমণ গত এক মাসে কমেছে।
এদিকে, রাজধানী দিল্লিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও প্রায় ৩ হাজার মানুষ।
টিটিএন/জেআইএম