যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস টিকা সরবরাহ শুরু ফাইজারের

কৌশলী ইমা কৌশলী ইমা , যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৪০ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস টিকার সরবরাহ শুরু করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফাইজার। প্রথম ধাপে চারটি রাজ্যে রোড আইল্যান্ড, টেক্সাস, নিউ মেক্সিকো এবং টিনেসি অঙ্গরাজ্যে তাদের তৈরি টিকার পরীক্ষামূলক সরবরাহের পাইলট কর্মসূচি চালু করেছে।

তবে এই সরবরাহ প্রক্রিয়ায় সমস্যা হচ্ছে তাপমাত্রা। ফাইজার উদ্ভাবিত টিকা সংরক্ষণ করতে হয় মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্য সাধারণ টিকা রাখা হয় ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এক্ষেত্রে ফাইজারের এই টিকা সাধারণ ওষুধ বিতরণকারীদের কাছে রাখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার ফাইজার এক বিবৃতিতে বলেছে, টিকার পাইলট কর্মসূচি চালু হয়েছে। এতে আমরা আশা করতে পারি এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজ্যগুলো এবং আন্তর্জাতিক সরকারগুলোর জন্য এই সরবরাহ একটি মডেল হিসেবে কাজ করবে। এরই মধ্যে ফাইজারের টিকা শতকরা ৯০ ভাগ সফল বলে প্রাথমিক তথ্যে বলা হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও স্বীকৃতি দেয়া হয়নি এই টিকা বা অন্য কোনো টিকা।

ফাইজার বলেছে, অন্য রাজ্যগুলোর আগেই রোড আইল্যান্ড, টেক্সাস, নিউ মেক্সিকো এবং টিনেসিতে যাচ্ছে এই টিকা। এখনও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় বৃহত্তর পরিসরে চলছে এই টিকার নিরাপত্তা পরীক্ষা। এর ফল নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে পাওয়ার কথা। যদি এতে সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে জরুরি ভিত্তিতে তা ব্যবহারে অনুমোদন দিতে পারে কর্তৃপক্ষ।

ফাইজার এবং এর অংশীদার বায়োএনটেক এসই ২২ ইউএওয়াই.এফ মার্কিন সরকারকে ১০ কোটি টিকা সরবরাহের জন্য ১৯৫ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তবু বাড়তি ৫০ কোটি ডোজ প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের। ওদিকে সোমবার ফাইজারের প্রতিপক্ষ মডার্না এমআরএনএও বলেছে, তাদের করোনার টিকা শতকরা ৯৪.৫ ভাগ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

তারা আশা প্রকাশ করেছে, করোনার টিকা শিগগিরই ব্যবহারের জন্য বাজারে দিতে পারবে তারা। এদিকে, ডব্লিউএইচও প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা অব্যাহতভাবে উৎসাহব্যঞ্জক খবর পাচ্ছি এবং আগামী মাসগুলোতে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে সতর্কভাবে আশাবাদী থাকব।

তবে এক্ষেত্রে সুন্তুষ্টির কোনো সুযোগ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। মডার্না সোমবার তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতার ঘোষণা দেয়ার প্রেক্ষিতে আধানম এ কথা বলেন।

এর আগে গত সপ্তাহে বায়োটেক ও ফাইজার তাদের ভ্যাকসিনের ৯০ শতাংশ কার্যকারিতার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ডব্লিউএইচও হুঁশিয়ার করে বলেছে, যে কোনো ভ্যাকসিনের ব্যাপক প্রাপ্যতা অনেক দূরের বিষয়। যদিও বিশ্বজুড়ে কোভিড -১৯ এর সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই বাড়ছে। ডব্লিউএইচও প্রধান আরো বলেন, কেবলমাত্র ভ্যাকসিন এককভাবে মহামারি দূর করতে পারবে না।

এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।