যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আড়াই লাখের বেশি মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ আবারও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও। এর মধ্যেই দেশটিতে আড়াই লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই ভাইরাস। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২ লাখ ৫০ হাজার ২৯ জন।
ওই পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখের বেশি মানুষ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছেও নেই।
তবে ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আক্রান্ত ও মৃত্যু আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬২। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৬৭ জন।
ওই পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ২০৬ জন। একদিনে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৯০৮ জনের। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭১ লাখ ৬০ হাজার ১৫৩ জন। বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ২১ হাজার ৯৫৭ জন।
গত এক সপ্তাহ ধরেই দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। দেশটির সংক্রামক রোগের শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, একটি অনিশ্চিত সময়ে ভুল পথে হেঁটেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় নিউইয়র্ক শহরে আবারও স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার নিউইয়র্ক সিটি স্কুলের চ্যান্সেলর রিচার্ড কারানজা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শহরের সব স্কুল বন্ধ থাকবে এবং অচিরেই অনলাইনের মাধ্যমে পাঠদান কর্মসূচি শুরু করা হবে।’
করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে গত মার্চে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। দুই মাস আগে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। করোনা সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে থাকায় নতুন করে আবারও স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
গত মার্চে যখন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ২শ জনের মৃত্যু হয়েছিল সে সময়ই সতর্ক করেছিলেন ডা. ফাউসি। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে এবং আরও কয়েক লাখ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে।
এদিকে, বুধবার ফাইজার এবং বায়োএনটেকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তাদের তৈরি করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ কার্যকর। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ওপর এই ভ্যাকসিন আশানুরূপ ফল দেখিয়েছে।
টিটিএন