করোনায় রেমডেসিভির ব্যবহার বন্ধের পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫১ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২০

মহামারি করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির ব্যবহারের কোনো উপকারীতা নেই জানিয়ে কোভিড-১৯ রোগে এই ওষুধ ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ প্যানেল বলছে, রেমডেসিভির ব্যবহারে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি, মৃত্যুর ঝুঁকি কমা বা তার ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন না হওয়ার কোনো প্রমাণ এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিক ট্রায়ালের পর ওষুধটির প্রস্তুতকারক যুক্তরাষ্ট্রের গিলিয়েড সায়েন্স করোনায় রেমডেসিভির বেশ কার্যকরী দাবি করার পর তা বিশ্বে সাড়া ফেললেও প্রথম থেকে এ ওষুধ ব্যবহার নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক ছিল।

মহামারি করোনার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে যখন মার্কিন জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি ফাইজার ও মডার্না একের পর এক সাফল্যের দাবি তুলছে, সেখানে বড়সড় ধাক্কা খেল গিলিয়েড সায়েন্সেস।

অ্যান্টিভাইরাল যে দুটি ওষুধ কোভিডের চিকিৎসায় ছাড় পেয়েছিল এর মধ্যে রেমডেসিভির একটি। গত মাসেই এই ওষুধের ‘সলিডারিটি ট্রায়াল’ শেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায় এই ওষুধের কার্যকারিতা নেই বললেই চলে।

এর পর আজ শুক্রবার এক বিবৃতি দিয়ে করোনায় রেমডেসিভিরের ব্যবহারে আপত্তি জানালো সংস্থাটি। তবে ডব্লিউএইচও’র ‘সলিডারিটি ট্রায়াল’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গিলিয়েড সায়েন্সেস।

বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন সিদ্ধান্তে হতাশ। কারণ গোটা বিশ্বে করোনার সংক্রমণ যখন দ্রুত বাড়ছিল, যখন চিকিৎসকরা এই ওষুধের ওপর ভরসা করছেন, তখন ডব্লিএইচও তাদের গাইডলাইনে এই প্রামাণ্য তথ্যকে নজরে আনেনি। এখন এই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা।

তবে বিশ্বের ৩০টির বেশি দেশের ১১ হাজার ২৬৬ জন রোগীর ওপর চালানো ট্রায়ালের ফলাফলের বরাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা জানান, তাদের গবেষণায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে অবস্থানের সময় কমানো কিংবা মৃত্যু ঠেকাতে ওষুধগুলো সামান্যই প্রভাব রেখেছে বা কোনো প্রভাবই ফেলতে পারেনি।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।