মৌলিক সেবার বদলে ঋণ মেটাতে বাধ্য হচ্ছে নিম্নআয়ের দেশগুলো: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৯ এএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারিতে চরম সংকটে বিশ্ব অর্থনীতি। উন্নত ও বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলো এই ধাক্কা কোনোমতে সামলাতে পারলেও নিম্ন ও মধ্যমআয়ের দেশগুলোর অবস্থা শোচনীয়। তাদের পক্ষে জনগণের মৌলিক সেবা নিশ্চিত ও আন্তর্জাতিক মাধ্যম থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধ একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই যেকোনও একটি পথ বেছে নিতে হচ্ছে স্বল্পআয়ের দেশগুলোকে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একথা বলেছেন সংস্থাটির মহাসচিব তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস।

এদিন করোনা মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রচেষ্টার প্রশংসা করলেও জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, সংকটের তুলনায় সেগুলো একেবারেই অপর্যাপ্ত।

তিনি বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো জনগণের মৌলিক সেবা ও ঋণ পরিশোধের মধ্যে একটি বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। তারল্য সংকট এড়াতে তাদের তাৎক্ষণিক সাহায্য দরকার।

করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর প্রথমবার আয়োজিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনেও ভ্যাকসিন সার্বজনীন হওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন সংস্থাটির মহাসচিব। তবে দ্রুত করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলেও এ মহামারি বিশ্বের যে ক্ষতি করছে, তার প্রভাব আরও কয়েক দশক থেকে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

un-2.jpg

গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, নিজেদের বোকা না বানাই। আগামী কয়েক বছর, এমনকি কয়েক দশক জুড়ে যে ক্ষয়ক্ষতি থাকবে, একটা ভ্যাকসিন তা পূরণ করতে পারবে না।

বিশ্বে মহামারির প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, চরম দারিদ্র্য বাড়ছে, দুর্ভিক্ষের হুমকি প্রকট। আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক মন্দার মুখে আমরা।

এসময় আগামী দুই মাসের মধ্যে বৈশ্বিক করোনা তহবিলের ৪৩০ কোটি ডলার ঘাটতি পূরণে অবদান রাখতে সদস্য দেশগুলো প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘের মহাসচিব।

দুই দিনব্যাপী এ অধিবেশনে শুক্রবার তিনটি প্যানেলে আলোচনা হবে। প্রথমটি কোভিড-১৯ বিষয়ে জাতিসংঘের পদক্ষেপ, দ্বিতীয়টি ভ্যাকসিন নিয়ে এবং তৃতীয়টিতে থাকবে করোনার আঘাত পুনরুদ্ধার। জাতিসংঘ মহাসচিব এ তিনটি আলোচনাতেই যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা

কেএএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।