করোনায় জার্মানি ও রাশিয়ায় রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু
মহামারি শুরু হওয়ার পর জার্মানিতে করোনাভাইরাসে বৃহস্পতিবার রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ দিন দেশটিতে ৫৮৫ জন মারা গিয়েছেন ও ২৯ হাজার ৮৭৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে বড়দিনের সময়ও সেখানে লকডাউন কার্যকর রাখার প্রয়োজনীয়তা জরুরী হয়ে পড়েছে বলে জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
এদিকে, রাশিয়া ও ইউক্রেনেও শুক্রবার রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। তবে অতিরিক্ত মৃত্যুর সংখ্যার ক্ষেত্রে রাশিয়ার দেওয়া তথ্যে সন্দেহ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
জার্মানিতে নভেম্বরের শুরু থেকেই আংশিক লকডাইন চলছে। বার, রেস্টুরেন্ট, বিনোদনস্থল প্রভৃতি বন্ধ রয়েছে সেখানে। বড়দিনের সময় লকডাউন শিথিল করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে তা সম্ভব হবে কিনা সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
জার্মানির অর্থমন্ত্রী পিটার অল্টমায়ার বলেন, ‘আমাদের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। আগে আমাদের পরিকল্পনায় যা ছিল তার চেয়েও বেশি কিছু করতে হবে।’
নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়া আক্রান্তের সংখ্যা দেশটির সরকারকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। জার্মানির জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা রবার্ট কচ ইন্সটিটিউটের প্রধান লোথার ওয়েইলার পরিস্থিতিকে ‘চরম ভঙ্গুর’ বলে বর্ণনা করেছেন।
চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল এ সপ্তাহে এক বক্তৃতায় বলেন, ‘প্রতিদিন ৫০০ মৃত্যু গ্রহণযোগ্য নয়।’
জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলের অঙ্গরাজ্য বাভারিয়াতে ইতোমধ্যেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার ১৬টি অঙ্গরাজ্যের নেতাদের বৈঠকে ডেকেছেন চ্যান্সেলর মার্কেল।
করোনার প্রথম ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছিল জার্মানি। তবে দ্বিতীয় ধাক্কা সামাল দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে রাশিয়ায় গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনায় ৬১৩ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৮৯৩। এর মধ্যে মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।
দেশটিতে ডাক্তার, শিক্ষক ও সমাজ সেবীদের মধ্যে স্পুটনিক-৫ ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়েছে। রাশিয়া বলছে, এই ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ কার্যকর। অতি সম্প্রতি অক্সফোর্ড-অ্যাস্টাজেনেকা ভ্যাকসিনের সঙ্গে স্পুটনিকের যৌথ ট্রায়ালের পরিকল্পনা করেছেন রাশিয়ার গবেষকরা।
এমকে/জেআইএম