সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ কঠোর হচ্ছে সিডনিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২০

অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার শহর সিডনিতে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।

নতুন বিধিনিষেধের আওতায় বাসাবাড়িতে ১০ জনের বেশি এবং অতিথিসেবা কেন্দ্রগুলোতে তিনশ জনের বেশি সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া সবাইকে বাসায় থাকতে ইতোমধ্যেই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে পাশের অঙ্গরাজ্য ভিক্টোরিয়ায় অনেক লোক ভ্রমণে এসেছেন। ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্য মধ্যরাত থেকে নিউ সাউথ ওয়েলসের বৃহত্তর সিডনি ও নিউ সাউথ ওয়েলস কেন্দ্রীয় উপকূল থেকে আসা সবার জন্য সীমান্ত বন্ধ রাখবে। এরপরও এসব অঞ্চল থেকে কেউ ভিক্টোরিয়ায় প্রবেশ করলে তাকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া অঙ্গরাজ্যও জানিয়েছে, বৃহত্তর সিডনি থেকে আসা সবাইকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। উত্তর উপকূলের অধিবাসীদের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অঙ্গরাজ্যটি।

গত বুধবার পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন এরকম মাত্র একজনের খবর পাওয়া গেছে। করোনা মোকাবিলায় মোটামুটি সফল ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ও মৃত্যু হয়েছে ৯০৮ জনের।

তবে সিডনিতে এই চিত্র সম্প্রতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সিডনির উত্তর উপকূলে রবিবার পর্যন্ত নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ জন। বড়দিনের উৎসব শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগেই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে। এর ফলে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জরুরি হয়ে দেখা দিচ্ছে।

উত্তর উপকূলের আড়াই লাখেরও বেশি অধিবাসীদের বাসা থেকে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শুধুমাত্র কাজ, ব্যায়াম, প্রয়োজনীয় কেনাকাটা ও অতি জরুরি প্রয়োজনে ক্ষেত্রে বাসা থেকে বের হওয়া যাবে।

সিডনির অন্য অঞ্চলের অধিবাসীদের উত্তর উপকূলে যেতে মানা করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের সরকার সকল স্থানীয়দের সুপারমার্কেট বা গির্জার মতো জায়গায় মাস্ক পরে যেতে অনুরোধ করেছেন। এছাড়া সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এমকে/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।