যুক্তরাজ্যে লরি-জট, ক্ষুব্ধ চালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্তের পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেছে ৪০টিরও বেশি দেশ। এর মধ্যে ছিল প্রতিবেশী ফ্রান্সও। গত রোববার তারা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সীমান্তে জট বেঁধে যায় ভারী যানবাহনের। মঙ্গলবার আবারও সীমান্ত খুলেছে ফরাসিরা। কিন্তু দুর্ভোগ কাটেনি আটকে পড়া হাজার হাজার গাড়িচালকের।
সীমান্ত পার হতে ফরাসি কর্তৃপক্ষ শর্ত দিয়েছে, ভ্রমণকারীদের অবশ্যই গত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনা টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ থাকতে হবে। একারণে সব লরিচালকের নমুনা পরীক্ষা শুরুও করেছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দীর্ঘ সারি পেরিয়ে পরীক্ষা করাতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
এ নিয়ে বুধবার কেন্ট কাউন্টির ডোভার শহরে ক্ষুব্ধ লরিচালকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, এদিন সকালে ডোভারে পুলিশ কর্মকর্তারা একদল মানুষকে ঠেলে পেছনে পাঠানোর চেষ্টা করছেন।
কেন্ট পুলিশ জানিয়েছে, মহাসড়কে গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ম্যান্সটনের একটি বিমান ঘাঁটিসহ ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরগুলোতে অন্তত ১০ হাজার লরি আটকা পড়েছে।
তবে দেশটির সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (আরএইচএ) জানিয়েছে, আটকে পড়া লরির সংখ্যা ৮ থেকে ১০ হাজারের মধ্যে। যদিও, সরকারপক্ষ এর সংখ্যা আরও কম বলে দাবি করেছে।
ব্রিটিশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক জানিয়েছেন, লরিচালকদের র্যাপিড টেস্ট করানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটেই ফলাফল পাওয়া সম্ভব। যাদের ফলাফল নেগেটিভ আসবে, তাদের পিসিআর টেস্টও করানো হবে।
যুক্তরাজ্যে অতিসংক্রামক করোনার নতুন ধরন শনাক্তের পর গত রোববার দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলে চার স্তরের লকডাউন ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার। এর পরপরই তাদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয় বেশ কিছু দেশ।
ফ্রান্সের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়ামও যুক্তরাজ্য থেকে আগতদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। তবে ইতালি, ভারত, পাকিস্তানসহ এখনও অর্ধশতাধিক দেশের সঙ্গে ব্রিটিশদের যোগাযোগ বন্ধই রয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
কেএএ/জেআইএম