এখনও বোতলবন্দি অধিকাংশ টিকা, প্রশ্নবিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম
চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই দুই কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ডিসেম্বর শেষ হওয়ার মাত্র সপ্তাহ খানেক আগে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। টিকাদান কর্মসূচি শুরুর ১০ দিন পার হলেও দেশটিতে এখনও বোতলবন্দি বেশিরভাগ টিকা।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) তথ্যমতে, বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি টিকার ১০ লাখ ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে, যা গত সপ্তাহে সরবরাহ করা প্রথম চালানের এক-তৃতীয়াংশ মাত্র।
এছাড়া, মডার্নার তৈরি টিকাসহ আরও ৯৫ লাখ ডোজ ইতোমধ্যেই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে মডার্নার টিকা প্রদান শুরু হলেও ঠিক কী পরিমাণ ডোজ ব্যবহৃত হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি সিডিসি। এ বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর প্রথম সপ্তাহেও ছিল চরম ধীরগতি। সেসময় ২৯ লাখ ডোজ হাতে পৌঁছালেও ব্যবহার করা হয় মাত্র ছয় লাখের মতো।
হাসপাতালগুলো জানিয়েছে, তারা কোভিড-১৯ টিকাদান শুরু করেছে গত সোমবার থেকে। এর জন্য প্রথমেই তাদের বরফজমা ডোজগুলো ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করতে হয়েছে। এছাড়া ক্লিনিকে টিকা দেওয়ার জন্য কর্মী অনুসন্ধান, টিকাদানের আগে ও পরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হচ্ছে। অনেকেই জানিয়েছে, তারা দিনে মাত্র ১০০টি ডোজ দিতে পেরেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ১৪ ডিসেম্বর কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর এপর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে প্রায় ১০ লাখ। অর্থাৎ, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি পূরণে বাকি সাতদিনে দিতে হবে আরও ১ কোটি ৯০ লাখ ডোজ।
চলতি সপ্তাহে মডার্না আরও ৫৯ লাখ ডোজ এবং ফাইজার-বায়োএনটেক ২০ লাখ ডোজ সরবরাহ করার কথা। এছাড়া, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুমোদন পেতে পারে জনসন অ্যান্ড জনসন এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি আরও দু’টি করোনা টিকা।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বৃহত্তম এই টিকাদান কর্মসূচি সম্পাদনে যথেষ্ট তহবিল দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশটির টিকাদান কর্মসূচি ‘অপারেশন ওয়ার্প স্পিড’-এর প্রধান উপদেষ্টা ডা. মোনসেফ স্লাউই বলেন, ‘আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিতে পারি তা হচ্ছে, টিকার ডোজ সহজলভ্য করা। তবে মানুষজন টিকা নেওয়ার গতি যেমনটা হবে ভেবেছিলাম, তার চেয়ে অনেক কম।’
মার্কিন প্রশাসন আগামী ১ মার্চের আগে ১০ কোটি মানুষকে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
কেএএ/জেআইএম