যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রতি হাজারে একজনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৭ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এক বছর হয়ে এলো। এই সময়ের মধ্যে সারাবিশ্বে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। তবে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছেও নেই কোনো দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গত ১১ মাসের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে প্রতি হাজারে একজন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার বিকাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা ৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৬১। যুক্তরাষ্ট্রের সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৩৩ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪৭। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯২১ জন। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ১ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার ৫০১।

করোনা সংক্রমণে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারত এবং ব্রাজিলের চেয়েও যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। গত ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল। অপরদিকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি করোনা সংক্রমণে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেশটিতে সংক্রমণের লাগাম টানা যাচ্ছে না।

গ্রীষ্মের দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমতে শুরু করলেও গত কয়েক মাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত মে পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল এক লাখ। এর ছয় মাস পরেই এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় দুই লাখে। এর পরের মাত্র ১১ সপ্তাহে আরও এক লাখ মৃত্যুর সংখ্যা এই তালিকায় যোগ হয়েছে।

কোভিড ট্র্যাকিং প্রোজেক্টের সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম তিন সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যা মহামারি শুরুর পর যে কোনো মাসের চেয়ে অনেক বেশি। এই সময়ের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন ২ হাজার ৫০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।