ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫২ পিএম, ০৬ জানুয়ারি ২০২১
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং

করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ দলকে প্রবেশের অনুমতি না দেয়াকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে উল্লেখ করেছে বেইজিং। তবে কবে এই অনুমতি দেয়া হবে সে ব্যাপারেও কিছু জানায়নি তারা। খবর এএফপির।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেন, চীন এখনও তাদের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলকে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ায় তিনি খুবই আশাহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দুজন ইতোমধ্যেই তাদের যাত্রা শুরু করেছেন এবং অন্যদেরকে শেষ মুহূর্তে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে হয়েছে।’

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য মিশনটি গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি ‘পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন’ বলে উল্লেখ করেন তেদ্রস। তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি মিশনটি যত দ্রুত সম্ভব শুরু হোক।’

চীনের এই আচরণের ফলে মনে হচ্ছে করোনাভাইরাসের উৎস সম্পর্কে বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে দেশটি বাধাগ্রস্ত করতে চায়। উল্লেখ্য, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বে ১৮ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।

বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, ‘কোথাও সম্ভবত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জনাব তেদ্রস ও ডব্লিউএইচওকে বুঝতে পারছি।’ ভ্রমণের তারিখ নির্ধারণে দুই পক্ষ এখন আলোচনায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।

হুয়া বলেন, ‘আমরা আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে। আশা করি ডব্লিউএইচও এটি বুঝতে পারবে। আমাদের সবসময়েই নির্বিঘ্ন যোগাযোগের চ্যানেল রয়েছে। হয়তো কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অনেক বেশি ধারণা করে ফেলা ঠিক হবে না। আমাদের নির্বিঘ্ন যোগাযোগ ও সন্তোষজনক সহযোগিতা রয়েছে। আমি আশা করি এটি অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, প্রথমদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর ঘোষণা দেয় তখন চীন তাদেরকে স্বাগত জানায়। কিন্তু তারাই এখন বিশেষজ্ঞ দলটিকে ভ্রমণের অনুমতি দিচ্ছে না। ফলে করোনার উৎস খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া আবারও বাধাগ্রস্ত হল।

এমকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।